প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

“যে তরুন ডুবে আছে মাদক পীড়ায়, সে তরুন মুক্তিপাক ক্রীড়ায় ক্রীড়ায়” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জমকালো আয়োজনে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা দক্ষিণ ডিক্কুল গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি: বিবাহিত গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭ ইং সম্পন্ন হয়েছে। ২০ অক্টোর শুক্রবার বিকেল ৩ টায় দক্ষিণ ডিক্কুল ফুটবল খেলার মাঠে এ ব্যতিক্রম ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে দুই সেরা শক্তিশালী বিবাহিত ফুটবল দল চির প্রতিদন্ধিতা করে। ছালামত গ্রুপ ফুটবল একাদশ বনাম কবির গ্রুপ ফুটবল একাদশ। খেলায় নির্ধারিত সময়ে কোন গোল না হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে ছালামত ফুটবল একাদশকে ১ গোলে পরাজিত করে কবির গ্রুপ। একমাত্র গোল দিয়ে দলকে জয় উপহার দেন আব্বাস। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন, গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন রশিদ জুয়েল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নোমান হোসেন প্রিন্স। উদ্বোধক ছিলেন, ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান টিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, দৈনিক আপনকন্ঠের (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ছিদ্দিক লালু, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জহির মিয়া কাজল, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান হিমেল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্না চৌধুরী। অন্ষ্ঠুানে বিশেষ অতিথি রুহুল আমিন সিকদার বলেন, খেলাধুলা যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধ কর্মকান্ড থেকে মুক্ত রাখে। তিনি ১৯৯১ সালে গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এলাকার কিছু প্রভাবশালী দখলে নেয়। সেই বিদ্যালয়ে দখলদাররা যাবতীয় অপরাধ কর্মকান্ড করছে প্রতিনিয়ত। তিনি প্রধান অতিথি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নোমান হোসেন প্রিন্সকে স্কুলটি উদ্ধার করে পড়ালেখায় ফিরে আনার আহবান জানান। উদ্বোধনী বক্তব্যে ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সোলতান টিপু বলেন, খেলাধুলা হচ্ছে যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে। তিনি উত্তাপিত স্কুলের বিষয়ে বলেন, ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। তারপর স্কুলটি এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও দখলবাজরা দখল করে মদ-জুয়ার আসর বানিয়ে এখন রোহিঙ্গা ভাড়াবাসায় পরিনত করেছে। তিনি উর্দ্ধতন মহলের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে পুনরায় স্কুলের কার্যক্রম চালুর অঙ্গীকার করেন। প্রধান অতিথি মো: নোমান হোসেন প্রিন্স বলেন, লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা মানুষের শারিরিক ও মানের বিকাশ ঘটায়। তাই খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমাকে খেলায় আমন্ত্রন জানার জন্য পরিচালনা কমিটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। তাই রাস্তা-ঘাট-মসজিদ মাদ্রাসা অতীব জরুরী। শুনেছি এখানে একটি পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল সেই প্রতিষ্ঠানটি একটি দখলচক্র ভাগিয়ে নেয়। তিনি অতিদ্রুত বিদ্যালয়টি উদ্ধার করে পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আশ^াস প্রদান করেন এবং দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। তিনি এলাকাকে দালালমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ গঠনের আশ^াস দেন। পরে খেলা শেষে স্কুলের স্থাপনার নামফলক পরিদর্শন করেন। অতিথিবৃন্দ হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের অধিনায়কদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। খেলা পরিচালনা কমিটির সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন, আবদু শুক্কুর, আবদুল হামিদ সুজন, সোহেল, রুকন উদ্দিন, ফজল করিম। খেলায় রেফারীর দায়িত্বপালন করেন সাইফুল ইসলাম। টুর্নামেন্ট সেরা গোলদাতা নির্বাচিত হন আব্বাস, সেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন নাসির। উক্ত খেলা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় কমিটির সকল সদস্য ও সর্বস্তরের ক্রীড়ামুদিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি আবদু সলাম।