ডেস্ক নিউজ:
আন্তর্জাতিক রীতি লঙ্ঘন করে বংলাদেশের সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে তারা বাংকার স্থাপন করে যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন,সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে দেশের বর্ডার বাহিনী।

সেনাবাহিনী মোতায়েন আন্তর্জাতিক রীতির লঙ্ঘন’।এ অবস্থায় সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।

বান্দরবান পার্বত্য জেলার তমব্রু সীমান্ত ঘেঁষে গত তিনদিন ধরে অবস্থান করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি দল। সকাল-দুপুর এবং সন্ধ্যায় দিনের তিনভাগে তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন হচ্ছে। তিনটি ট্রাকে করে ওই পয়েন্টে বর্ডার গার্ড পুলিশের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করছে মিয়ানমার সেনাবহিনীর সদস্যরা। বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্যরা তারকাঁটা স্থাপন করলেও সেনাসদস্যরা দূরে অবস্থান নিয়ে থাকছে।

শুধু তমব্রু সীমান্ত নয়। বাংলাদেশের চাকমা পাড়া এবং বাইশারী সীমান্ত
এলাকায়ও অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তবে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিতে তারা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘনজঙ্গলে অবস্থান নিয়ে থাকে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তমব্রু-চাকমা পাড়া এবং বাইশারী এলাকার জিরো পয়েন্ট বা নো ম্যান্স ল্যান্ডে অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান রয়েছে।

তবে সীমান্ত পরিদর্শনে আসা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ ধরণের উস্কানিমূলক কাজে বাংলাদেশ জবাব দেবে না । পলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, আমরা বিশ্ব জনমত সহ কূটনৈতিক ভাবে এই সমস্যার সমাধান চাই।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব: ) এমদাদুল বলেন, সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন আন্তর্জাতিক রীতির লঙ্ঘন। সীমান্তে নো ম্যান্স ল্যান্ডে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে তা আন্তর্জাতিক রীতির সরাসরি লঙ্ঘন।
এদিকে সীমান্তে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। লে. কর্ণেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, আমরা একে হুমকি মনে করছি না। অন্যদিকে আমাদের আর যা যা করা প্রয়োজন তা করছি।

এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ও ড্রোন ওড়ানো, স্থল মাইন স্থাপন এবং কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের মধ্য দিয়ে একাধিকবার সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। প্রতিটি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি এবং বাংলাদেশ সরকার।

সূত্র: সময় টিভি।