জসিম মাহমুদ,টেকনাফ :

আগামী ২৯ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সবুজ উপকূল ২০১৭ কর্মসূচি। ৪ অক্টোবর বুধবার বিদ্যালয় মিলনায়তনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় উপকূলে কর্মরত সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান ‘উপকূল বাংলাদেশ’এ কর্মসূচির আয়োজন করছে। উপকূলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানো, লেখালেখি চর্চার মাধ্যমে তথ্যে প্রবেশাধিকারসহ জীবন দক্ষতা বাড়িয়ে তোলা এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য।

প্রস্তুতি সভায় সবুজ উপকূল কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কর্মসূচির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ও উপকূল-সন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু। এ বিদ্যালয়ে এবার প্রথমবারের মত এ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। গতবছর সবুজ উপকূল ২০১৬ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের হাজী বশির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে।

সবুজ উপকূল ২০১৭ কর্মসূচির অনুষ্ঠানমালায় থাকবে ‘এসো সবুজের আহবানে, গড়ি সবুজ উপকূল’ শীর্ষক আলোচনা সভা, গাছের চারা রোপণ, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, শোভাযাত্রা, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকবে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন উপস্থাপনের মত ব্যতিক্রমী বিষয়। কর্মসূচি উপলক্ষে প্রকাশিত দেয়াল পত্রিকা ‘বেলাভূমি’তে চারপাশের পরিবেশ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের লেখা প্রকাশিত হবে।

সবুজ উপকূল ২০১৭ কর্মসূচি সম্পর্কে উপকূল-সন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন,সমগ্র উপকূল অঞ্চল ঘুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমি দেখেছি, এই অঞ্চলের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের মাঝে সচেতনতার মাত্রা খুবই কম। অনেক বিষয়ে তাদের সাধারণ জ্ঞান নেই। যে নদী তার বাড়ি ৫বার ভেঙে নিয়ে গেছে, সে নদীর নামটিও তারা বলতে পারে না। চারপাশের তথ্য জানাতে কয়েক বছর আগে থেকে পড়ুয়াদের অংশগ্রহনে দেয়াল পত্রিকা বেলাভূমি প্রকাশ শুরু হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সবুজ উপকূল কর্সূচির জন্ম হয়।এরমধ্য দিয়ে উপকূলের পড়ুয়ারা তথ্য সমৃদ্ধ হয়ে জীবন দক্ষতা নিয়ে বেড়ে উঠবে। একইসঙ্গে তাদের সৃজনশীল মেধার বিকাশ ঘটবে।

কর্মসূচির স্থানীয় সংগঠক  জসিম মাহমুদ বলেন, সবুজ উপকূল কর্মসূচি প্রাান্তিক জনপদের এই শিক্ষার্থীদের আলোকিত করতে সহায়তা করবে। সাধারণত এ ধরণের কর্মসূচি প্রান্তিক জনপদে আয়োজন করা হয় না। সে ক্ষেত্রে এ কর্মসূচি এখানকার শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু দেবে বলে আশাকরি। এখন চেষ্টা করতে হবে, অনুষ্ঠান যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়।

এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচির জন্য সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়কে নির্বাচিত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ-উদ-দৌল্লাহ্্ বলেন, এই কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশ ও লেখালেখি চর্চায় বিশেষভাবে সহায়ক হবে। এর মধ্যদিয়ে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে আশারাখি। অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

সভায় আলোচনা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, এটা ভিন্নধর্মী কর্মসূচি। যা আমাদের আমাদের মেধা বিকাশে সহায়ক হবে। সবুজ উপকূল কর্মসূচির মধ্যদিয়েআমরা অনেক কিছু জানতে পারবো, শিখতে পারবো। যা আমাদের পরবর্তী জীবনে কাজে লাগবে। আমরা সক্রিয়ভাবে এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে চাই।