বিদেশ ডেস্ক: 

শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। কে পাবেন এ বছরের নোবেল তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বেশ কিছু নাম উঠে আসছে। বিশ্লেষকরা দিচ্ছেন নানা মত। নোবেলের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও। ইতোমধ্যে এ বছর চিকিৎসা,পদার্থ ও রসায়নে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হয়ে গেছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় নরওয়ে থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল আলোচিত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে- কে পাচ্ছেন এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

কে জিতবেন পুরস্কার, অসলোর পিস ইনস্টিটিউটের দেওয়া তালিকা অনুসারে সেই বিষয়ে ধারণা দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

পোপ ফ্রান্সিস

> ২০১৩ সালে ক্যাথলিক ধর্মগুরু বা পোপ হওয়ার পর থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস। শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য সমবেদনা জানানোর আহ্বান এবং ঐতিহাসিকভাবে রক্ষণশীল ক্যাথলিক চার্চের উদারপন্থী কণ্ঠস্বর হিসেবে এ বছর শান্তিতে নোবেলের জন্য তাকে সম্ভাব্য বিজয়ী বিবেচনা করা হচ্ছে।

আঙ্গেলা ম্যার্কেল

> ২০১৫ সালে ইউরোপের শরণার্থী সংকটের সময় জার্মানিতে ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণার পর থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছে। তবে শরণার্থীদের জন্য উদারতা দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হলেও নিজ দেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ম্যার্কেল। গত মাসে জাতীয় নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হলেও অভিবাসন নীতির কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কমসংখ্যক আসন পেয়েছেন। অন্যদিকে অভিবাসনবিরোধী উগ্র জাতীয়তাবাদীরা পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহৎ দলে পরিণত হয়েছে।

সিরিয়ার ‘হোয়াইট হেলমেটস’

> গত বছল নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য উদ্ধারকর্মীদের দল সিরিয়ার ‘হোয়াইট হেলমেট’ তথা সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স অর্গানাইজেশনের নাম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধ অবসানের কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল সান্তোস পুরস্কার পেয়ে যান। এবার হোয়াইট হেলমেটসের নাম পুরস্কারের জন্য বেশ আলোচিত হচ্ছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে এ সংস্থাটি ৯৯ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।

ফেডেরিকা ও জাভেদ

> ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হতে মধ্যস্থতা করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। এই চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার বেশ কয়েক বছরের উত্তেজনা প্রশমিত হয়। এই কৃতিত্বের জন্য ফেডেরিকা ও জাভেদকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অন্যতম ফেভারিট মনে করা হচ্ছে।

ইকোওয়াস

চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাম্বিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে ভূমিকা রাখে পশ্চিম আফ্রিকান জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ইয়াহিয়া জাম্মেহ প্রথমে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু ইকোওয়াসের ভূমিকার কারণে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট আদামা ব্যারোর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বাধ্য হন।

ফিলিপ গ্রান্দি

.

 জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ গ্রান্দিও রয়েছেন এই তালিকায়। শরণার্থী ও অভিবাসীদের সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের ধারণা, আমেরিকান সিভিল লির্বাটি ইউনিয়ন এই পুরস্কার জিতে নিতে পারে। এছাড়া সৌদি ব্লগার রাইফ বাদাউইও রয়েছেন এই তালিকায়।