ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:

পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের মধুখালী লম্বাঘোনা এলাকায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি দখলে রাখতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এক প্রবাসীর পরিবার। এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি সৌদি প্রবাসী নুরুল হকের মা নুর খাতুন(৭০)।

বৃদ্ধা নুর খাতুন জানিয়েছেন, তার পুত্র সৌদি প্রবাসী নুরুল হক লম্বাঘোনা এলাকায় দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বেশ কিছু রিজার্ভ ভুমির মালিক। তাতে তিনি সৃজিত বনায়ন করে আসছেন। এরইমধ্যে ওই জমির উপর লোলপ দৃষ্টি পড়ে পুরাড়িয়া এলাকার মৃত রশিদ আহমদের পুত্র রবি আলম ও আবদুল হকের পুত্র গিয়াস উদ্দিনের। শুরু করে সৃজিত বাগানের গাছ কর্তন। অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দিনে রাতে ওই বাগানের চারপার্শ্বে মহড়া প্রদর্শন করে চলছে প্রতিনিয়ত। গাছ কর্তনে বাধা দিতে গেলেই শুরু করে নির্বিচারে গুলি বর্ষন। হতাহত করে নিরহ লোকদের। বসতবাড়িতে এসে হামলা করতে পর্যন্ত দ্বিধা করেনি সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ে অঘোষিত রাজত্ব করছে তারা। ইতিমধ্যে আহত হয়েছে শিশু পুত্র মোঃ ইমরান, আবদুল হামিদ ও নুরুল আমিন নামের ৩জন।

এদিকে গতকাল রাতে রবি আলম ও গিয়াস উদ্দিন তার দলবল নিয়ে আমার পরিবারে এসে হামলা শুরু করে। আমি বৃদ্ধা মহিলা, পুত্রবধু ও সন্তানেরা তাদের রুখতে না পারায় নিরবে তাদের তান্ডব চোঁখে দেখেছি মাত্র। এছাড়াও আমার পুত্রের বেশ কিছু জমি দখল করে তারা দুজন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অস্ত্রশস্ত্র বালু মহল রক্ষা করতে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেছে রবি আলম ও গিয়াস উদ্দিন। তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যানকে তোয়াক্কা করেনা। আমরা চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসন মহোদয়ের কাছে এই দুই সন্ত্রাসীকে দ্রুত আটকের দাবী জানাচ্ছি।

প্রবাসী নুরুল হক মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানায়, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি ওই জমি আমার মামাদের কাছ থেকে দখল ক্রয় করে সৃজিত বাগান তৈরি করেছি। গাছও বড় হয়েছে। ইতিমধ্যে রবি আলম ও গিয়াস উদ্দিন আমার জমিসহ সৃজিত বাগান দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়াও তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার পরিবারে এসে হামলার চেষ্টা করেছে। আমার বৃদ্ধা মা স্ত্রী ও সন্তানেরা আতংকে দিনাপাত করছে। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করলে গ্রাম আদালতের শালিষী বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে জমি ও সৃজিত বাগান আমার বলে প্রতিয়মান হয়। যার কারণে সে চেয়ারম্যানের শালিষী বিচার পর্যন্ত অমান্য করে চলছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ওই দুই সন্ত্রাসী আটকের দাবী জানাচ্ছি।

টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জমির বৈধ মালিক হলো নুরুল হক। সালিষি বৈঠকে তা প্রতিয়মান হয়েছে। কিন্তু একটি ভুয়া স্ট্যাম্প নিয়ে একই এলাকার রবি আলম ও গিয়াস উদ্দিন জমি জবর দখল চেষ্টা করছে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারা প্রবাসীর পরিবারের উপর বেশকয়েকবার হামলা চেষ্টা করেছে। দুর্গম পাহাড়ে তারা অবস্থান নেওয়ার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা। তাই প্রবাসী নুরুল হকের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমি আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।