ডেস্ক নিউজ:

চীন থেকে আসা ত্রাণবাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৭০০ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত। ভারতীয় ত্রাণবাহী জাহাজটি বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম বন্দরের এক নম্বর জেটিতে এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে, আজ দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৫৩ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে চীন। সকাল ৯টায় চীনের ত্রাণবাহী কার্গো বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। চীনের ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে তাঁবুও রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছে।

হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকাল ৯টায় চীনের ত্রাণবাহী কার্গো বিমানটি অবতরণ করে। জেলা প্রশাসক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে ত্রাণগুলো গ্রহণ করেন। চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর (অর্থ ও বাণিজ্য) লি জুয়াঙ্গজুন তার হাতে ত্রাণগুলো তুলে দেন।’

অন্যদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরীর কাছে তার দেশ থেকে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী বুঝিয়ে দেন। ভারতীয় ত্রাণবাহী জাহাজে ৬৭ হাজার ১৬৭ প্যাকেজে ৭০০ টন ৬০০ কেজি ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।

চীন থেকে আসা ত্রাণজেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে ভারতীয় ত্রাণবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। বেলা ১১টার দিকে ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জেলা প্রশাসকের কাছে ত্রাণসামগ্রী বুঝিয়ে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ নিয়ে ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য তিন দফায় প্রায় ৮০০ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে। আজ নিয়ে আসা ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল রয়েছে। ত্রাণগুলো খুব শিগগির কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় এক হাজার ৩০৩ টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ভারত একাই পাঠিয়েছে ৮০৭ টন, চীন দুটি বিমানে করে পাঠিয়েছে ১১০ টন, সৌদি আরব ৯৪ টন, ইন্দোনেশিয়া আটটি বিমানে করে ৭৭ টন, ইরান দুইটি বিমানে ৬৮ টন, মরক্কো ১৪ টন ও মালয়েশিয়া ১২ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ১০১ টন ও জাপানিজ রেডক্রস সোসাইটি ১৮ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে।