মিয়ানমার সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলা যোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে বিদ্রোহীদের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

ভারত থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বাধীনতার জন্য নাগাল্যান্ডের প্রায় দুই হাজার গেরিলা যোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। দেশটির সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী এই গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের গোলাবর্ষণের পর দ্রুত পাল্টা জবাব দিয়েছে টহলরত সেনা সদস্যরা। এতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড-খাপল্যাংয়ের (এনএসসিএন-কে) অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে। তবে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে বুধবারের এ অভিযান সীমিত ছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালে প্রতিবেশী মিয়ানমারের ভূখণ্ডে ঢুকে নাগাল্যান্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ভারতের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।

ওই বছর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সিরিজ হামলা চালায় এই বিদ্রোহীরা। ২০০১ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চললেও সেই সময় বিদ্রোহীরা তা লঙ্ঘন করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত এবং মিয়ানমার সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। নিজেদের ভূখণ্ডে উভয় দেশ কোনো বিদ্রোহীকে আশ্রয় দেবে না বলেও অঙ্গীকার করেছে।

গত আগস্টে মিয়ানমার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার নিন্দা জানায় ভারত। ওই হামলার পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জাতিসংঘ বলছে, সেনা অভিযানের মুখে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স