সিবিএন:
বন্দোবস্ত দেয়া জমির ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ভূমিদস্যু, দখলবাজ ও জমিদার শ্রেনীর হাতে। সরকারী অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃত ভূমিহীনরা বঞ্চিত হচ্ছে। প্রভাবশালী ও কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা সরাসরি ভূমিদস্যুতায় সম্পৃক্ত। যে কারণে সরকারী জমি দখল ও বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইপসা ও একশান এইড এর যৌথ অয়োজনে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধির সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা ওঠে আসে।
আলোচনায় বলা হয়, জমিদার শ্রেণীরা প্রভাব খাটিয়ে ভূমিহীনদের বঞ্চিত করে সরকারী জমি বন্দোবস্ত নেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত আছে। ভূমিহীনদের বঞ্চিত করে যেসব জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে তা বাতিল করে ভূমিহীনদের মাঝে বণ্ঠন করে দিতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থে ফরেস্ট জমি ডি-ফরেস্ট করার মাধ্যমে ভূমিহীন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রয়োজনের ভূমি নীতিমালা সংস্কারের দাবী তুলেন আলোচকরা।ইপসার আওটরিচ সমন্বয়ক ওমর ছাদেক-এর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইসচেয়ারম্যান হেলেনাজ তাহেরা, পৌর কাউন্সিলর এসআইএম আকতার কামাল, রাজনীতিবিদ আইয়ুবুর রহমান।
উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন- একশান এইডের ব্যবস্থাপক শমসের আলী, কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ইপসার মাঠ পরিদর্শক আজিজুল হক সিকদার, এডভোকেট সাকি-এ কাউসার, সাংবাদিক সায়ীদ আলমগীর, ইমাম খাইর, আমিনুল হক, মাহাবুবুর রহমান, ওয়াহিদুর রহমান রুবেল,  আরফাতুল মজিদ, সূর্যের হাসি ক্লিনিক এর ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ঈসা, কলেজ শিক্ষক ফরিদুল আলম প্রমুখ। এতে শিক্ষক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করে।