প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য আজীবন সত্য ও সুন্দরের দাওয়াত পেশ করেছেন। জানিয়েছেন মুক্তির উপায়। তিনি বলেছেন, ‘আদদুনিয়াউ মাজরাতুল আখিরাহ’ অর্থাৎ ‘দুনিয়া আখিরাতের শষ্যক্ষেত্র।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতায় মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে এবং সত্য, সুন্দর ও উত্তম নসিহত প্রদানে পবিত্র কুরআনুল কারিমের অমীয় বাণী নিয়ে দুনিয়াতে আগমন করেছিলেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

তিনি তাঁর প্রিয় উম্মতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন-

‘আমাকে ৬টি আমলের ওয়াদা দাও; আমি তোমাদেরকে জান্নাতের ওয়াদা দেব।’

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত ৬টি আমল হলো-

>> সব সময় সত্য কথা বলা; কারণ সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে।
>> প্রতিশ্রুতি (ওয়াদা) পূর্ণ করা;
>> আমানতের খিয়ানাত না করা;
মনে রাখতে হবে, সত্য পরিহার করে মিথ্যাগ্রহণকারী, ওয়াদা ভঙ্গকারী এবং আমানতের খিয়ানতকারী মুনাফিক। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘মুনাফিকের স্থান হবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।

>> ইজ্জতের (লজ্জাস্থানের) হেফাজত করা। উত্তম চরিত্রবান হিসেবে নিজেকে গড়তে ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের বিকল্প নেই।
>> দৃষ্টি অবনমিত রাখা; মানুষ চোখের দ্বারা বেশি গোনাহে আক্রান্ত হচ্ছে। যে কারণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম কুরআনের সতর্ক বার্তায় তিনি তাঁর উম্মতকে চোখের হেফাজতের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।

>> জুলুম থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা জুলুমকে তাঁর নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন। তাছাড়া আল্লাহ তাআলার সঙ্গে শিরক করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম। সুতরাং সব ধরনের জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্ত থাকা জরুরি।

এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারী এবং পুরুষ উভয়কে ইজ্জতের হেফাজত, দৃষ্টির হেফাজত এবং জুলুম অত্যাচার থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার জন্য নসিহত করেছেন। কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনের অনেক আয়াতে উল্লেখিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে যথাযথ বিধি-নিষেধ জারি করেছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত ৬টি ওয়াদা যথাযথভাবে পালন করার শক্তি ও সামর্থ্য দান করুন। প্রিয়নবি ঘোষিত ওয়াদা বাস্তবয়ন করে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।