আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় বহু রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের রাখাইনে হিন্দুদের একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোহিঙ্গা জঙ্গিরা ওই হিন্দুদের হত্যা করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিবিসি বাংলা।

গেল ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গিরা রাখাইনে কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলা চালায়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য নিহত হন।

এরপরই নৃশংস অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওই অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে ঢুকেছে।

হিন্দুদের গণকবরের বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি, কারণ অভিযান শুরুর পর থেকে ওই এলাকায় চলাচল সীমিত রয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীপ্রধানের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যে হিন্দুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের হত্যা করেছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) জঙ্গিরা। বিদ্রোহী সংগঠনটির সদস্যদের চরমপন্থি বাঙালি সন্ত্রাসী বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

গেল একমাস ধরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিয়ে যে সংকট চলছে তা মূলত আরসার হামলার পরই শুরু হয়।

এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযান থেকে বাঁচতে নিরীহ মুসলিমদের তো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছেই, সঙ্গে অনেক হিন্দুদেরও দেশ ছাড়তে হয়েছে বলে খবর রয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, গণকবরে যে ২৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ২০ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ।

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ইয়ে ব ক্য নামের গ্রামটির হিন্দুরা এএফপিকে বলেছেন, ২৫ আগস্ট জঙ্গিরা তাদের গ্রামে হানা দেয়, তাদের সামনে যে দাঁড়িয়েছে তাদের ওপরই হামলা করা হয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেককে জঙ্গলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।