এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকার ভাগ না দেয়ায় শিক্ষার্থীর বাবাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা এমএ রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে এ ঘটনা। এ ঘটনায় মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা জাফর আলম বাদি হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ও চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের জাফর আলম (৩৬) জানান, তার মেয়ে সাদিয়া জন্নাত বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা এমএ রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করছেন। এবছর তাকে উপবৃত্তির আওতায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর মেয়ের উপবৃত্তি বাবত ১২শত টাকার একটি ম্যাসেজ আসে তাঁর মোবাইলে।

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, তাঁর মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা আসার খবর পেয়ে পরদিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর আলম তাকে (শিক্ষাথীর বাবা) ফোন করে দেখা করতে বলে। কথা মতো ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক জাফর আলমের সাথে দেখা করতে স্থানীয় পহরচাঁদা পশ্চিমপাড়াস্থ নুরুল আলমের বাড়ির সামনে যান। ওইসময় প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীর নামে বরাদ্দকৃত উপবৃত্তির অর্ধেক টাকা তাকে দেয়ার জন্য বলে। নতুবা উপবৃত্তির তালিকা থেকে নামটি কেটে দেয়া হবে বলে ভয় দেখান।

জানান, ওইসময় তিনি প্রধান শিক্ষকের অন্যায় আবদার প্রত্যাখান করে চলে যেতে চাইলে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তাকে পিটুনি দেয় প্রধান শিক্ষক। এতে তাঁর হাতে ও শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত পেয়েছেন বলে জানান আহত জাফর।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাফর আলমের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্ঠা করা হয়। কিন্তু ফোনে সংযোগ বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.খুরশিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা তা তদন্তের আগে বলা যাবেনা। তবে উপবৃত্তির টাকার জন্য শিক্ষার্থীর বাবাকে মারধর করে থাকলে ঘটনাটি অবশ্যই দু:খজনক। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোন ধরণের অভিযোগ আমরা ডাকযোগে কিংবা হাতে হাতে এখনো পাইনি। পরবর্তীতে পেয়ে থাকলে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।