আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রক্ষণশীল সৌদি আরবের নারীরা এবার দীর্ঘদিন নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে এলেন। এতদিন তারা পুরনো যুগে ছিলেন তেমনটা নয় তবে এই প্রথম তারা সৌদির নিয়ম ভেঙে প্রকাশ্যে এসেছেন।

শনিবার সৌদির জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রথবারের মতো কয়েকশ নারী একটি স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তারা কনসার্ট, লোকনৃত্য এবং আতশবাজিও উপভোগ করেছেন।

রক্ষণশীল সৌদিতে এভাবে নারীরা প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু এই প্রথম তারা এ ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেন।

আগেও নারীদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি ছিল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফুটবল ম্যাচ দেখার জন্য নারীদের তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মাঠে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়। তাদের পুরুষ লোকদের থেকে আলাদা স্থানে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেয়া হতো।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবুক শহরের এক নারী বলেন, আমরা আশা করি অদূর ভবিষ্যতে স্টেডিয়ামে প্রবেশের বিষয়ে আমাদের ওপর কোনো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে না।

তিনি আরো বলেন, বহু বছর আগে থেকেই আমি স্বপ্ন দেখছি যে, আমরা নারীরাও পুরুষের মতো সমান অধিকার পাব।

অতি রক্ষণশীল সৌদি আরবে নারীদের ওপর সবচেয়ে বেশি সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়ে থাকে এবং বিশ্বের মধ্যে একমাত্র দেশ সৌদি যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর কোনো অনুমতি নেই।

দেশটিতে যে কোনো কাজেই নারীদের তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়। বিশেষ করে বাবা, স্বামী অথবা ভাই ছাড়া মেয়েরা পড়াশুনা, ভ্রমণ বা অন্য কোনো কাজের জন্য বাইরে বের হতে পারেন না।

তবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু বিষয়ে নারীদের প্রতি নমনীয় হয়েছে সৌদি আরব। ভিশন ২০৩০য়ের আওতায় অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি।