বিশেষ প্রতিনিধি, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারের সৌদিয়া জুয়েলার্সের মালিক বাসু দেব গ্রাহকের প্রায় ২শত ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী ক্রেতারা শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বদরখালী বাজারস্থ ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা এলাকার স্বর্ণের দোকানদার রতনের নিয়ন্ত্রনে বদরখালী বাজারে স্থাপিত সৌদিয়া জুয়েলার্স নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন চট্টগ্রামের বাশখালী উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের শওকর ধরের পুত্র বাসু দেব। বেশ কয়েক বছর সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুবাদে বিশ^াস জম্মিয়ে বদরখালী, মহেশখালীসহ আশ-পাশ এলাকার সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে ২০০ ভরি উর্ধ্বে নামমাত্র মূল্যে স্বর্ণালংকার বন্ধক নেয়। এমনকি এলাকার মানুষদের কাছ থেকে অতিরিক্ত লাভ দেওয়ার প্রলোভনে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েও নিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সময় থেকে সৌদিয়া জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকানদার বাসু দেব স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন জনের রক্ষিত নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

বিক্ষোভকালে ভূক্তভোগীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বদরখালীর মোক্তার আহমদের পুত্র হেলাল উদ্দিন (৪ভরি), জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রিকু আক্তার, মো: ইছহাকের পুত্র হামিদা বেগম, শামসুল আলমের পুত্র মো: বাদশা, জাগের হোছাইনের পুত্র জসিম উদ্দিন, আবদু সালামের পুত্র শাহাব উদ্দিন, ছৈয়দ আলমের পুত্র আবু তাহের, মতিউর রহমানের পুত্র বেলাল উদ্দিন, হাজী গুরা মিয়ার পুত্র মো: বাদশা, আবদু জলিলের পুত্র আকবর আহমদ, ছৈয়দ আহমদের পুত্র নুবালম, গোলাম মাবুদের পুত্র রুহুল কাদের, নাদের হোছাইনের পুত্র আবদুল মজিদ, আজিজুর রহমানের পুত্র মিজবা উদ্দিন, ছৈয়দ নুরের পুত্র মদুল উদ্দিন বদ, নাছির উদ্দিনের স্ত্রী তসলিমা, শাহ আলমের পুত্র সেলিনা আক্তার, আবু ছৈয়দের পুত্র কাজল, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুল ইসলাম, আছদ আলীর পুত্র নাছির উদ্দিন, আবদুল আজিজের পুত্র মো: হারুন, ইউসুফ আলীর পুত্র আবদু শুক্কুর, ছৈয়দ নুরের পুত্র বদিআলম, আনু মিয়ার পুত্র নুরুল আমিন, জামাল উদ্দিনের পুত্র করিম দাদ, আবুল হোছনের পুত্র শাহাব উদ্দিন ও শফিকুর রহমানের পুত্র এসএম শওকত ওসমানসহ শতাধিক গ্রাহক। ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তাদের প্রায় ২শত ভরি স্বর্ণাংকার ও অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েগেছে জুয়েলার্স মালিক বাসু দেব। তার আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা চিরিংগার স্বর্ণব্যবসায়ী রতন। মূলত ওই রতনের অধিনেই এসব ব্যবসা ও অপকর্ম করে আসছিলো বাসু দেব। তারা বাসু দেবের গ্রেফতারসহ আইনী ব্যবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।