অনলাইন ডেস্ক :
২০১১ সালে হঠাতই ঘটে যায় এক অঘটন। বিশ্বাস তার নিজের ঘরেই ছিলেন। কিন্তু কোনও কাজে বাইরে বের হতে হয় তাকে। বাবার ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেমন জানি সন্দেহ হয়। ভেজানো দরজায় হাত পড়তেই খুলে যায় তা। তারপর যা দেখলেন তাতে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

আজ শুক্রবার এক প্রেস কনফারেন্সে এমনই কথা বললেন ধর্ষক বাবা রাম রহিমের মেয়ে হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী।

বিশ্বাস গুপ্ত নিজে ছিলেন বাবা রাম রহিমের ভক্ত। এবং এই ধনী ব্যক্তিকে বিয়ে করার ফলেই তার স্ত্রী হানিপ্রীতও বাবার সান্নিধ্যে আসে বলে জানিয়েছেন বিশ্বাস।

বিশ্বাস বাবার ডেরায় থাকতেন ঠিকই, কিন্তু হানিপ্রীত থাকতেন বাবার নিজস্ব কামরায়। ডেরার নানা কাজের দায়িত্বে প্রায় সারাদিনই ব্যস্ত থাকতেন বিশ্বাস। এবং সেই সুযোগের ‘সদ্ব্যবহার’ করতেন ধর্ষক বাবা ও তার পালিতা কন্যা।

বিশ্বাসকে ডেরার সকলে ‘জিজাজি’ বলে সম্বোধন করত বলে জানিয়েছেন তিনি। এমন ভাবেই দিন কাটছিল। এবং কাজের চাপে এক সময়ে অসুস্থ হতে শুরু করেন বিশ্বাস। কিন্তু তার স্ত্রীর সে দিকে কোনওই নজর ছিল না। সে ব্যস্ত থাকত বাবার সঙ্গে এখানে ওখানে যাওয়ার জন্য।

ধর্ষক বাবার সঙ্গে প্রায়শই সে ঘুরতে চলে যেত বাইরে। ২০১১ সালে হঠাতই ঘটে যায় এক অঘটন। বিশ্বাস তার নিজের ঘরেই ছিলেন। কিন্তু, কোনও কাজে বাইরে বেরতে হয় তাকে। এবং বাবার ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেমন জানি সন্দেহ হয়। ভেজানো দরজায় হাত পড়তেই খুলে যায় তা। এবং এক অভাবনীয় দৃশ্য ভেসে ওঠে বিশ্বাসের চোখের সামনে। ঘরের ভিতরে সঙ্গমে লিপ্ত তখন ‘বাবা ও তার কন্যা’।

বিশ্বাসকে এর পরেই হুমকি দেন রাম রহিম— মুখ খুললেই প্রাণ হারাবে সে। কিন্তু, বিশ্বাস তার পরিবারকে সব কথা খুলে বলেন। ততদিনে বাবার দুই ভক্ত বেরিয়ে পড়ে বিশ্বাসকে খুন করার জন্য।

সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বাস গুপ্ত জানান যে, যে দু’টি ছেলেকে তাকে হত্যা করার জন্য পাঠানো হয়, তারা ‘জিজাজি’ বিশ্বাসকে খুবই ভালবাসতো। ফলে, তারাই বিশ্বাসকে সাবধান করে। এবং এও বলে যে আজ তাদের পাঠানো হয়েছে, পরে হয়তো অন্য কাউকে পাঠাবে ধর্ষক বাবা।
বাবা কারাগারে যাওয়ার পরে জনসমক্ষে বেরিয়া আসতে পেরেছেন বিশ্বাস।