প্রেস বিজ্ঞপ্তি : দারিদ্র বিমোচণের প্রত্যয় নিয়ে “ধলঘাটা কোহেলিয়া যাকাত ফাউন্ডেশনের” আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মহেশখালি উপজেলার ধলঘাটায় এর কার্যক্রম শুরু হয়।

উক্ত যাকাত প্রদান অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় মুরুব্বী নুরুল ইসলাম।

এই ফাউন্ডেশনের অগ্রদূত ধলঘাটার বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। আর এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের আর কোন ইউনিয়নে নিয়েছে কিনা তথ্য পাওয়া যায়নি এখনো।

এই বিষয়ে ফাউন্ডেশনের পরিচালক ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বেশ কিছুদিন থকে ভেবে আসছিলেন এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও দারিদ্র পিড়িত অসহায় রুগীদের আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা সহ অসচ্ছল পরিবারকে স্বচ্ছল করার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী ভাবে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করার পন্থা বের করা।

যার প্রেক্ষিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তার ব্যক্তিগত যাকাতের টাকা এবং পরিবারের ভাই বোন চাচা,চাচী যাদের যাকাত দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে পারিবারিকভাবে তাদের সবার যাকাতের টাকা এক করে দরিদ্রদের সহযোগিতা করার কৌশল নিলেন।

অন্যদিকে চেয়ারম্যানের এই মহৎ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কাছের এক বন্ধু (নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক) যিনি চেয়ারম্যান সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু যাকাতের টাকা দিয়ে আগায় দেন বলে নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যান।যেহেতু তিনি জনপ্রতিনিধি তার মাধ্যমে যাকাত আদায় করলে সমাজে উপকৃত হবে এ চিন্তায় কাজটা শুরু করলেন সংঘবদ্ধ দলটি।

এ মহৎ উদ্যোগে গঠন করলেন জবাবদিহিতামুলক “কোহেলিয়া যাকাত ফাউন্ডেশন।”

উল্লেখ্য কোহেলিয়া হচ্ছে ধলঘাটা গ্রামের অপরূপ এক নদীর নাম।

ফাউন্ডেশনের যাত্রার শুরুতেই তিনি যাকাত প্রদান করলেন,নারীদের মধ্যে দারিদ্র বিমোচনের জন্য ছাগল বিতরন করেন ৮টি,দোকান ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল প্রদান করেন ৩ জনকে,বেকার এক যুবককে দোকানের ব্যবস্থা করে দেন,অসহায় দারিদ্র নিপীড়িত রুগীকে চিকিৎসা করার জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করেন ১২ জন দরিদ্রকে।

উক্ত যাকাত প্রদান অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ছাড়াও আর ও উপস্থিত ছিলেন ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইদুল আলম সাইদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বখতিয়ার আলম, ধলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালা আহমদ, ইউপি মেম্বার মাহবুবুর রহমান, নাসির আহমদ, আক্তারুজ্জামান, ছাড়াও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, ঈমাম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।