সোয়েব সাঈদ, রামু :

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর এলাকায় সুপারী চুরির ঘটনা আশংকাজনক বেড়ে গেছে। ফলে নিজস্ব ও মৌসুমী বাগান মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

একাধিক সুপারী বাগান মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে পাকা সুপারী উদপাদনের ভর মৌসুম শুরু হচ্ছে। এমন সময়ে অফিসেরচর, চর পাড়া, সিকদারপাড়া সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কতিপয় ইয়াবা, মদ ও অন্যান্য মাদকাসক্ত এবং পেশাদার চোরের দল সুপারী চুরির ঘটনা সংগঠিত করছে। প্রতিরাতে এলাকার বিভিন্ন বাগানে সুপারী চুরির ঘটনা ঘটছে। এমনকি দিনেও সুপারী চুরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক বাগান মালিক।

রামুর অফিসেরচর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি রামু ফকিরা বাজার ব্যবসায়ি বহুমুখি সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল আলম জানিয়েছেন, এলাকায় সুপারী চোরের উপদ্রব অন্যান্য বছরের চেয়ে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ইয়াবা/মাদকসক্তরা মাদক কেনার টাকা জোগাড় করার জন্য বিকল্প পন্থা হিসেবে সুপারী চুরিকে বেছে নিয়েছে। বাগান মালিক একদিকে সুপারীর চুরির কারনে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। আবার অনেক বাগান মালিক ইয়াবাখোর সুপারী চোরেরা গাছ থেকে পড়ে হতাহত হলে উল্টো নিজেরা হয়রানির আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

তিনি আরো জানান, একবছর পূর্বে ৫০ শতকের একটি সুপারী বাগান এক মৌসুমের জন্য ব্যবসায়িরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় নিয়েছিলেন। কিন্তু চোরের উপদ্রব বাড়ায় চলতি বছর সে বাগান ৫০ হাজার টাকায়ও নিতে চাচ্ছে না।

ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক ও ব্যবসায়িরা সুপারী চোরের উপদ্রব বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।