মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ:
গণহত্যা বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুসলমানরা মিয়ানমার দখল করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

মঙ্গলবার টেকনাফ ও উখিয়ায় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে্এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত জাহেলী যুগের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। রেহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে ও আইসি, জাতীয় সংঘসহ মুসলিম বিশ্বকে এহেন বর্বরতার বিরোদ্ধে অবরোধ সহ যে কোন কঠোর কর্মসুছী হাতে নেওয়ার আহবান জানান। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অংসান সুচির খুটির জোর কোথায় খুঁজে বাহির করতে হবে।

চরমোনাই পীর আরো বলেন, সুচি রক্ত পিপাসু। তার বিচার হতেই হবে। সুচি রোহিঙ্গাদের গণ হত্যা,নির্যাতন বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুসলমানরা আরকান দখল করে সে দেশের রেহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য করা হবে এমন হুশিযারী ও ঘোষনা করেন ।

তার মতে, রোহিঙ্গাদের অনেক কিছু প্রয়োজন তাই যারা ত্রাণ দিতে আসে তাদেরকে প্রশাসনিক সব ধরনের সহযোগিতা করার আহবান জানান।পাশাপাশি নির্যাতনের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির বিচার ও দাবি করা হয়। আর যারা শরনার্থী হিসাবে রয়েছে তাদের সার্বিক নিরাপক্তা দেওয়া সরকার ও আমাদের কর্তব্য।

১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিশাল গাড়ী বহরে উখিয়া- টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আশ্রিত অস্থায়ী রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং তাদের মাঝে নগদ অর্থ, খাদ্যদ্রব্য সহ বিভিন্ন প্রকারের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) উপরোক্ত কথা বলেন। দেশে ও দেশের বাহিরের সকল মানবতাবাদী ধণাঢ্য শ্রেণীকে নির্বাসিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওঃ সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমদ,শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান,মাওঃ আতাউর রহমান আরেফী, এডভোকেট লুৎফর রহমান শেখ,চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশ্রাফ আলী আকন্দ,ইসলামী শাসন তন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম রুহুল আমিন,কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম, ত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী,সহ-সভাপতি মাওঃ আবুল হাশেম, জেলা সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, যুগ্ন সম্পাদক এ আর এম মাওলানা ফরিদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ আনোয়ার,বামুক জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ বদিউল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়ব আরমান, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক নেজামী, যুগ্ন সেক্রেটারি মাওলানা হাফেজ এনামুল হক মন্জুর, বামুক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা,সাংবাদিক মো: জুবায়ের, ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলা আহবায়ক হাজী মোঃ ইসমাইল,ইশা ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর ও টেকনাফ উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ আখতার কামাল প্রমূখ। উল্লেখ্য গত ১৭ দিন ১০টি পৃথক টিম করে ধরে ত্রাণ বিতরন করছেন। শাহপরীর দ্বীপে রয়েছে ৩টি লঙ্গর খানা।