মোঃ নিজাম উদ্দিন, ডুলাহাজারা:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা মগছড়াজুম এলাকাবাসী ও মসজিদে ব্যাবহারের একমাত্র পুকুরটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ভরাট পূর্বক ঘর নির্মান করে জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ও মুসল্লিরা জানায়, মগছড়াজুম এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধীক বসতঘরের নারী পুরুষরা বিগত ৩০বছর ধরে পুকুরটি ব্যবহার করে আসছে। এটি ইউছুপ আলীর পুত্র দানু মিয়া নামে বিএস ৪৮ খতিয়ানের ৭৩, ৭৪ দাগে অন্তর্ভুক্ত। ২০ শতকের পুকুরটির কিছু অংশ জমি খাস খতিয়ানেও রয়েছে। কিন্তু দানুমিয়ার ওয়ারিশেরা উক্ত পুকুরটি এলাবাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পাশাপাশি পুকুরটির আয়ের সকল টাকা-পয়সা মসজিদের ব্যয়ের খাতে ব্যবহার করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। এ সংবাদ জেনে এলাকার প্রভাবশালী ও দখলবাজ চক্রের সদস্য মৃত মোহাম্মদ মিয়ার পুত্র গিয়াস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জবরদখল করতে পুকুরের উপর টিনের ঘর নির্মাণ করেন। এছাড়া সম্প্রতি প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার গাছাপালা কর্তন করে তিনি বিক্রি করে দেয়। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউএনও সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারমনকে নির্দেশ দেন। পরে গত ২৯ জুলাই চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বিষয়টি পর্যালোচনা করে পুকুরে বিবাদীর কোন স্বত্ব না থাকায় জবরদখল থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দখলবাজ গিয়াস উদ্দিন ঘর নির্মাণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা। এব্যপারে এলাকাবাসী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।