প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক বাদ দেয়া সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল হোসেন, কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের আহবায়ক এম এ হাসিব বাদল ও সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকার ফরিদ আহম্মদ কাম্পানী চার্জশীটভুক্ত করে কক্সবাজার ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচাল আলোচিত ছালাউল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নআহবায়ক শফিউল্লাহসহ ১৩ আসামীকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবি এড:মো:আসাদুজ্জামান কায়সার জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত প্রতিবেদনের (চার্জশীট) বিরুদ্ধে বাদীর পক্ষ থেকে নারাজী আবেদন উপস্থাপন করা হয়। আদালত বাদী পক্ষের এ আবেদন আমলে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন।

জানা যায়, কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটার অভিযোগে সম্প্রতি ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন(চার্জশীট) জমাদেন পরিবেশ অধিদপ্তর। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর তদন্ত শেষে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের দেয়া ওই প্রতিবেদনে মামলার এজাহারে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটার এসোসিয়েশনের আহবায়ক এম এ হাসিব বাদলকে বাদ দিয়ে শহরের চন্দ্রিমা গেইট এলাকার সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল হোসেন ও জলিল আহম্মদের ছেলে ফরিদ আহম্মদ কাম্পানী পাহাড় কাটলেও বর্তমানে তাদের খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। প্রতিবেদনে যাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন তারা হলেন-কক্সবাজার সরকারী কলেজের পেছনে স্থাপিত ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক হাফেজ ছালাউল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নআহবায়ক শফিউল্লাহ, কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা:শাহ আলমের ছোট ভাই মো: সোলতান,
কলাতলী দক্ষিন আদর্শগ্রাম সমিতির সভাপতি জহির সওদাগর, পাহাড়তলী এলাকার মো: সৈয়দ ড্রাইভারের ছেলে আব্দুল হক,আব্দুল মোতালেবের ছেলে মুহিউদ্দিন,মোহাম্মদের ছেলে মো: আমিন,মৃত রশিদ উজ্জামানের ছেলে মনিরুজ্জামান, দক্ষিণ ঘোনার পাড়ার মৃত জামাল আহম্মদের ছেলে মো:আমিন।

আদালত সুত্রে জানাযায়, জানাযায়, কক্সবাজার শহরে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার কারনে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতে একটি মামলা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী জনস্বার্থে এ মামলাটি দায়ের করেন পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রণমেন্ট সোসাইটি(ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন।
মামলার বাদী ইয়ুথ এনভায়রণমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে (চার্জশীট) বেশ কয়েকজন মূল আসামীকে বাদ দেয়ায় ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজী প্রদান করি। আদালত শুনানী শেষে সব কিছু পর্যালোচনা করে নারাজীটি গ্রহণ করেন।’
উল্লেখ্য, জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছালাহুল ইসলামকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।