ডেস্ক নিউজ:
মাথার উপরে নীল আকাশ, নিচে বিস্তর জমিন, তাতেই বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি নিয়ে আশ্রয়ের চেষ্টা। পথে পথে মানুষের সারি, তাবুতে তাবুতে শিশুর কান্নার রোল। আর পেছনে পড়ে আছে স্বজন হারানোর দুঃসহ বেদনার্ত জীবনের গল্প। গুলির মুখে এসব মানুষ হারিয়েছে প্রিয় স্বামী, সন্তান আর পিতামাতাকে। তারপর অনিশ্চিত জীবনের পথে যাত্রা। পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সাথে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় দেড় লাখ শিশু। লাখ লাখ মানুষের ভিড়ে অনেকেই হারিয়ে ফেলছেন প্রিয় শিশু সন্তানকে। সন্তানহারা বাবা-মা আর তাদের ঠিকানা না জানা শিশুরা সময় পার করছে চোখের জলে। তবে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের আবারও নিজ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করতে টেকনাফে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ বুথ চালু করেছে কামাল নামের একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী। একটি মঞ্চ বানিয়ে তিনি নিখোঁজদের বিষয়ে মাইকিং করছেন।

এই বুথ নিয়ে ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, উএনএইচসিআর। ভিডিওতে প্রথমেই মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলা এক রোহিঙ্গা শিশুকে দেখানো হয়। এরপর দেখা যায় ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’এর কর্মতৎপরতা, তাদের মাইকিং। ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ এর সাহায্যে এ পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া কয়েকশ শিশুকে নিজ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করেছেন কামাল।

কামাল জানান, আমাদের মঞ্চ থেকে ৫ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪১০টি শিশুর বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১২৯টি শিশুকে স্বজনদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের হিসাবে, এদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। আর শিশুদের মধ্যে এক হাজার ১২৮ জন ছিন্নমূল। তাদের সঙ্গে পরিবারের অন্য কোনও সদস্য নেই।