বিদেশ ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের পর শূন্য হয়ে যাওয়া আসন এনএ-১২০ এর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।

প্রতীকী ছবি
পিএমএল-এন এর শক্ত ঘাঁটি বলে বিবেচিত ও নির্বাচনি আসনে দলটির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুলসুম নওয়াজ। প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) এবং পিপিপিও ওই আসনটিতে জয় পাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে। লাহোরের ওই আসনটিতে জয় পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪ জন প্রার্থী। পিটিআই থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ড. ইয়াসমীন রশিদ আর পিপিপি থেকে প্রার্থিতা পেয়েছেন ফয়সাল মীর।

২২০টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ১০৩টি পুরুষ ভোটারদের জন্য, ৯৮টি নারী ভোটারের জন্য এবং ১৯টি কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে নারী-পুরুষ যৌথভাবে ভোট দেওয়ার জন্য। ডন জানিয়েছে, এ আসনের ভোটার সংখ্যা ৩,২১,৭৮৬। পাকিস্তানের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো বায়োমেট্রিক ভোটার ভেরিফিকেশন মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩০ হাজারের মতো ভোটার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করছে। বিকেল ৫ টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে।

এদিকে নওয়াজের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজের প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিপিপি প্রার্থী ফয়সাল মীরের পিটিশনের বিরুদ্ধে ১৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। এর আগে লাহোরের হাইকোর্টে ওই চ্যালেঞ্জ খারিজ হয়ে গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে দুনিয়ার প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং রাঘববোয়ালদের আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস করে সাড়া ফেলে দেয় আলোচিত ‘পানামা পেপারস’। ফাঁস হওয়া ওই গোপন নথিতে অর্থ পাচারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলের নাম উঠে আসায় নিজ দেশে চাপের মুখে পড়েন তিনি। বিরোধী দলগুলো থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশে অবৈধ বিনিয়োগের অভিযোগ তদন্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পানামা পেপারস প্রকাশের পর বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াতে ইসলামিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেয় আদালত।
গত ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর পদত্যাগ করেন নওয়াজ শরিফ।