আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নিপীড়নের ব্যাপারে বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে আগামী সপ্তাহে ভাষণ দেবেন শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চি। বুধবার সু চির মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।

২৫ আগস্ট মিয়ানমারের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার অজুহাতে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে দেশেটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা। তবে সে ব্যাপারে শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী সু চির নিরবতার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এছাড়া তিন হাজার রোহিঙ্গা রাখাইনে সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন; জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে ৬০ টি রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম।

বিভিন্ন রাষ্ট্রের পাশাপাশি জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও রোহ্গঙ্গা নিধনের নিন্দা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা রাখাইনের হত্যাকাণ্ডকে বইয়ে উল্লেখ করা উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। অনেকে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা ওই বাড়িঘরগুলোতে আগুন দিয়েছে বলে সু চির দাবির পর ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন মিয়ানমারের এই ডি ফ্যাক্টো নেতা।

এমনকি মিয়ানমারের এই নেত্রীর শান্তিতে পাওয়া নোবেল কেড়ে নেয়ার ব্যাপারেও হাজার হাজার লোক অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। তবে নরওয়ের ২০১৬ সালের নোবেল কমিটি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সু চির নোবেল কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা তারা রাখেন না।

এছাড়া সু চির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক এবং মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধদের সংগঠনকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে দালাই লামার নোবেলও কেড়ে নেয়ার দাবি উঠেছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সু চি। এখন দেখার বিষয় ভাষণে তিনি কী বলেন।

সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট