বলরাম দাশ অনুপম:
মিয়ানমারে জাতিগত সংহিংসতায় নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ চলছে। উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীতে ২টি টিমের ২০টি বুথে ছবি তোলা ও নিবন্ধনের কাজ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে এই কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হলেও মূলত: সোমবার সন্ধ্যায় এই কার্যক্রম শুরু হয়। নিরাপত্তার সুবিধার্থে, ত্রাণ সহায়তা প্রদান ও মিয়ানমারে প্রর্ত্যাপণের সুবিধার্থে এসব রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কাজ চলছে। এই কার্যক্রমে রোহিঙ্গাদের নাম, ঠিকানা, আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি ছাড়াও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও কন্ট্রোলরুমের ইনচার্জ খালেদ মাহমুদ।
উল্লেখ্য-নিজ দেশে জাতিগত সহিংসতায় নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও পুরুষ। ২৪ আগস্ট আনান কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর দিবাগত রাতে আরাকান রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলার অভিযোগে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে অভিযানের নামে সে দেশের সেনা-পুলিশ। তারা সাধারণ রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। ঘটনার পর থেকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এসে জড়ো হয় আতঙ্কিত হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-শিশু-পুরুষ। তখন তাদের বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দেয়া হলেও ১ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকা শুরু করে। এদিকে জানা গেছে, ৪ লাখের অধিক নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। সহযোগিতা দেয়া ও নিরাপত্তার সুবিধার্থে এসব রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। সে অনুযায়ী সোমবার থেকে তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়।