ডেস্ক নিউজ:
দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে উল্লেখ করে মিয়ানমার থেকে আসা সাত লাখ রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশ খাওয়াতে পারবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাবার দেই। সুতরাং বিপদে পড়ে আমাদের দেশে আসা দুই-পাঁচ-সাত লাখ মানুষকে খাবার দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের আছে।’

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। মিয়ানমারে গণহত্যার মুখে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা পরিদর্শনে মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আহত শিশুর মুখে নির্যাতনের বর্ণনা শুনছেন প্রধানমন্ত্রী (ছবি- ফোকাস বাংলা)ক্যাম্প পরিদর্শন ও খাদ্য সহায়তা বিতরণের পর এক জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সেখানে তিনি জানান, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের যেন কোনও কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি বাঙালির শরণার্থী হওয়ার কথা স্মরণ করেন।

গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নতুন করে দমন-পীড়ন ও গণহত্যা শুরু করলে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসেন আরও অন্তত চার লাখ রোহিঙ্গা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খাদ্য, আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। তবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যা করার দরকার আমরা সেটি করবো।’

শান্তির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তা কি তাদের বিবেককে নাড়া দেয় না? একজনের ভুলে এভাবে লাখ লাখ মানুষ ঘরহারা হচ্ছে। আমরা শান্তি চাই।’ তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আমি জেনেছি যারা আশ্রয় নিতে এসেছেন তাদের অনেকেই অসুস্থ। তাদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।’