বার্তা পরিবেশক :

নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলাকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলের অপচেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল কুতুব একাডেমী দীর্ঘ ১৩ বছর পর্যন্ত সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। ইত্যবসরে ২/৩ দিন পূর্বে মাও: বদরুদ্দৌজা কুতুবী, এজাবতুল্লাহ কুতুবী, সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম ও কলিম উল্লাহসহ ২০/২৫ জনের একটি দল ঐ প্রতিষ্ঠান দখলের জন্য হাঙ্গামা সৃষ্টিকরে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করে। এছাড়া শিক্ষকদেরকেও হুমকি ধমকি এবং শিক্ষিকাদেরকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে বলে জানা যায়।

আরো অভিযোগ আছে, উক্ত সন্ত্রাসীরা, কেন অত্র একাডেমীতে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙ্গানো হয়েছে জানতে চায় এবং তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার জন্য হুমকি ধমকি দেন। অন্যথায় কয়েকদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান জোর দখল করা হবে বলে জানান। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। উড়ে এসে ঝুড়ে বসা নিয়ে ঐ এলাকায় সমালোচনা চলছে।

মাও: বদরুদ্দৌজা কুতুবী ও এম.এজাবতুল্লাহ কুতুবী দু’জনই নাশকতাসহ চেক প্রতারণা মামলাসহ বহু মামলার আসামী বলে জানা যায়।  তদুপরি সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম কোটি টাকা খরচ করে হলেও নাশকতা সৃষ্টিকরে ঐ প্রতিষ্ঠান দখলে নেবে বলে হুমকি দেন। জানা যায় , এ প্রতিষ্ঠান মরহুম আবদুল খালেক বহদ্দার ও মরহুম হাজী আবু তাহের সহ কয়েকজন শুভাকাঙ্খীদের সুদৃষ্টি ছিল। বর্তমান কমিটির সদস্য মাষ্টার জকরিয়া, ইয়াহিয়া খান, শাহাদত হোসেন মুন্না, মো: শহিদুল্লাহ, আব্দুর রহিম রব্বানী, সেলিম উদ্দিন, ছরওয়ার আলম, মো: কায়ছার, খালেদ বিন জাহেদ সহ সকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আগামী বার্ষিক পরীক্ষার ব্যাঘাত ঘটাতে এহেন সন্ত্রাসী হামলার হুমকি, ধমকি দিচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। বর্তমান সরকার শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে ঐ ষড়যন্ত্রকারীরা এ সরকারের আমলে দ্বিতীয়বার পা না বাড়ানোর জন্য কমিটির সদস্যরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

জানাযায় ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ একাডেমীর আর্থিক অনটন ও ঘাত প্রতিঘাত পার হয়ে সরকারি বিভিন্ন নির্দেশনা পালনসহ পড়ালেখার মান এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১০ সালে ভেঙ্গেপড়া এ প্রতিষ্ঠানটির দিকে কেউ তাকায়নি, কষ্টকরে মাহমুদুল করিম মাঝির ভাড়া বাসায় ভাড়া দিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হয়েছে। যারা দখল করতে চায় তারা কোনদিন এ প্রতিষ্ঠানের সফলতা চায় নি, এবং কোন শিক্ষককেও এক টাকা সম্মানি দেয় নি। না জেনে মুর্খ’র মত অধ্যক্ষকে হিসাব দিতে বলে। অথচ অধ্যক্ষের কাছে কোন হিসাব সংরক্ষণ থাকে না। হিসাবের জন্য আলাদা একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি কারো একক মালিকানায় গঠিত হয়নি, প্রতিষ্ঠানের মাঠ ভরাট, সাঁকো নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ, ভবন নির্মাণ, টয়লেট নির্মাণ, বেঞ্চসহ কোন কিছুতেই তাদের এক টাকারও অবদান নেই। এছাড়া কে কত টাকা অনুদান দিয়েছে তা রশিদ বই স্বাক্ষী আছে। তারাতো কোন অধ্যক্ষকে নিয়োগ দেয় নাই, তারা চায় একাডেমী দখল করে হিসাব নিকাশ নিজেদের পকেটে নেওয়ার জন্য। একটি লোভী ও স্বার্থপর মহল এ চক্রের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একাডেমীর শিক্ষক পরিষদ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহল জোর দাবী জানিয়েছে।

এই কুচক্রী মহলের দাবী,  তাদেরকে  চাঁদা দিতে হবে। তারা বেক ডেইট দিয়ে রেজুলেশন করে নিজেরা নিজেরা পরিচালক বনেছেন। কাউকে বরখাস্ত করলে কারন দর্শানো নোটিশ দিতে হয় সেটাও তারা জানেনা এবং বরখাস্ত করলে বছরের বাকি মাস সমূহের অগ্রিম বেতন দিতে হয় তাও লোভী ও নাশকতাকারীরা জানে না। অধ্যক্ষ একজন স্বল্পভাষী, কর্মষ্ঠ ও ত্যাগী শিক্ষাবিদ। তিনি ঐ একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পরিচালক হিসেবে এখনো আছেন। তার বিরুদ্ধেসহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র করলে ঐ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক,অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা।