প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন কক্সবাজার জেলা কমিঠির সভায় বক্তারা বলেছেন বাংলাদেশের সামজিক আর্থিক এবং পারিপার্শিক সক্ষমতা বিবেচনা করে আরো কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সামগ্রিক পরিবেশ সংকটাপন্ন হয়ে উঠবে। এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এখন যে দিকে যাই শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা এই অবস্থা আর কত দিন চলবে ? আর কত রোহিঙ্গা আসবে? বা কখন আসা বন্ধ হবে তার কোন হিসাব নাই। আর জাতি সংঘের হিসাবে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ৩ লাখ হলেও বাস্তবে তার দ্বিগুন। এই বিপুল জনগোষ্ঠি ইতি মধ্যে কক্সবাজারের আনাচে কানাচে সহ চট্টগ্রাম ও পার্শবর্তি জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এতে তাদের আদৌ মায়ানমারে ফেরত পাঠানো যাবে কিনা সন্দেহ আছে। যেহেতু ১৯৭৮ সালে থেকে এ পর্যন্ত ফেরত যাওয়ার সংখ্যা খুবই নগন্য তাই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রেখে তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা জরুরী একই সাথে তারা যাতে অন্য কোথাও যেতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া পর্যটনের সার্থে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে পার্শবর্তি দেশে বা দেশের অন্য কোন জেলার দি¦পে বা চরাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার ও জোর দাবী জানান সুজন নেতৃবৃন্ধ। ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়ামে সুজন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর এম এ বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা আরো রোহিঙ্গাদের নৃশংস হত্য ও নির্যাতনের জন্য মায়ানমারের প্রতি তীব্র ঘৃনা এবং নিন্দা প্রকাশ করেন। একই সাথে মায়ানমারকে আর্ন্তজাতিক ভাবে চাপ সৃস্টি করতে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে দাবী জানান। নেতৃবৃন্ধ বলেন ইতি মধ্যে কক্সবাজারের পাহাড় সহ ফসলি জমি,শশ্বানও দখল হয়ে গেছে দ্রব্য মুল্যের দাম বেড়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমস্যা তৈরি হয়েছে বিশেষ করে পর্যটনের উপর বিরোপ প্রভাব পড়েছে তাই দ্রুত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করা সহ রোহিঙ্গাদের অন্যকোন দেশে বা বাংলাদেশের দ্বীপ বা চরাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানান। একই সাথে মানবসৃস্ট সংকট কালে মায়ানমারের জনগনের পাশে দাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি ও ধন্যবাদ জানান।

এতে বক্তব্য আরো বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন কক্সবাজার জেলা কমিঠির সহ সভাপতি প্রফেসর জাফর আহামদ,সহ সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক প্রিয়তোশ পাল পিন্টু,সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সহ সম্পাদক অধ্যাপক অজিত দাশ, সাংগঠনিক হোসাইনুল ইসলাম মাতবর, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ জাবের, উম্মে খালেদা খানম রুবী, শামীম আকতার,ডাঃ চন্দন কান্তি দাশ, পৌর কাউন্সিলার মনজুমন্নাহার, বুলবুল-এ জান্নাত,জাহেদা আক্তার, দিপালী দে প্রমুখ।