সংবাদদাতা, পেকুয়া:

পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বখশিয়াঘোনা এলাকায় চলাচলের রাস্তা কেটে খাল খনন করেছেন এক প্রভাবশালী। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী তিন গ্রামের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

শনিবার (৯সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের নতুন পাড়া, সুন্দরী পাড়া ও বদি উদ্দীন পাড়া যাতায়তের একমাত্র রাস্তা বকশিয়া ঘোনা সড়ক কেটে খাল খনন করেছেন বদি উদ্দীন পাড়া এলাকার মৃত কাছিম আলীর পুত্র নুরুল আবছার প্রকাশ বদু মেম্বার। এতে বকশিয়া ঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বকশিয়া ঘোনা জামে মসজিদ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে ফাটল ধরেছে মসজিদের দেয়ালে। যা পুরো ধ্বসে পড়তে পারে যেকোন মুহূর্তে। এছাড়াও রাস্তাটি কেটে ফেলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কাজ শুরু হতে যাওয়া সাইক্লোন সেন্টারের মালামাল আনা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় মসজিদের মসল্লী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন।

স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি, স্কুল কমিটির সভাপতিসহ স্থানীয় ৭০জন এলাকাবাসী বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। এছাড়াও স্থানীয়রা দীর্ঘদিনের পুরানো রাস্তা কেটে ফেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ওই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। দ্রুত ওই রাস্তা বিলীন হাওয়া থেকে রক্ষা না করলে বৃহৎ আকারে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী বখশিয়া ঘোনা এলাকার সমাজ সর্দার জাকের উল্লাহ, মসজিদ কমিটির সভাপতি ছমির উল্লাহ, সেক্রেটারী আহমদ হোসেন, ইমাম নুরুল আবছার, ব্যবসায়ী ওসমাণ গণি, বখশিয়া ঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমিজ উদ্দিন, শিক্ষক আলী আহমদ, ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি মনু হাজ্বি ও সম্পাদক মো: ছলিম উল্লাহসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এ রাস্তাটি ঐতিহাসিক বখশিয়াঘোনা দরবার সড়ক নামে পরিচিত। হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে রাস্তা দিয়ে। রাস্তাটি ইতিমধ্যে ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বদু তার লবণের জমি সংরক্ষিত করতে রাস্তাটি কেটে খালে পরিণত করেছেন। বর্তমানে পুরো রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বখশিয়া ঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরানী শিক্ষা কেন্দ্রের আসা যাওয়া শিক্ষার্থীদের চলাচল। এছাড়াও ঐতিহাসিক বায়তুল মামুর জামে মসজিদ যে কোন মূহর্তে ধ্বসে পড়বে। যার কারণে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে সুরহা না হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।

এবিষয়ে নুরুল আবছার বদু বলেন, চলাচলের রাস্তা অনেক আগে দখল হয়ে গেছে। বর্তমানের যে জায়গার উপর রাস্তাটি আছে তা খালের অর্ন্তভুক্ত। যার কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসলে পরিমাপ করলে তা বের হয়ে আসবে।