খালেদ হোসেন টাপু,রামু

কক্সবাজার জেলার রামুতে রেল লাইনের জংশন পরিদর্শন পূর্বক পথসভায় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেছেন বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়ন বান্ধব। তাই কক্সবাজার ও রামুর পর্যটন ব্যবসা এবং এলাকার উন্নয়নের অগ্রধিকার ভিত্তিতে সরকার রেল লাইন নির্মাণ করছে। শিগগিরই বৃহৎ এই প্রকল্পের টিকাদারের প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হবে। এরপর রেল লাইনের পুরোপুরি কাজ শুরু হয়ে যাবে। কক্সবাজারে নির্মাণ হবে বিশ্বমানের ঝিনুক আকৃতির প্রধান রেলস্টেশন। রামুতে হবে লাইনের বড় জংশন। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে এই রেলপথ ছিল সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। কোনো নতুন রেললাইন নির্মাণ, নতুন ট্রেন সংযোজন করা হয়নি। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলপথের উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু একটা রেলের মাধ্যমে জনগণকে সেবা দৌগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।

এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রামু ও কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এতে করে যোগাযোগের ধারণা পাল্টে দেবে রেলওয়ে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সুবিধা বাড়বে। পাল্টে যাবে কৃষি, পর্যটনসহ পুরো অর্থনীতির চিত্র।

মন্ত্রী আরো বলেন,রেলওয়ে একটি গণমুখী নিরাপদ ও সাশ্রয়ী এবং আরাম দায়ক গণপরিবহন প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রীদের কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণ হবে। যাতের জায়গা ও জমি এ প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হবে। আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে রেল দেখবে রামু কক্সবাজারের মানুষ। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু কক্সবাজার ও ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন সরকারের লক্ষ্য যাত্রী সেবা দেওয়া এই সরকারের অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে রেলের দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যায়ক্রমে সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এজন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

শনিবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সকালে রামু রেল লাইনের জনংশন পরিদর্শন শেষে বাইপাসস্থ এশিয়ার বৃহত্তম ফুটবল চত্ত্বরে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন রামু কক্সবাজারের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল।

রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের সভাপতিত্বে ও জেলা মৎস্য জীবিলীগের সহ সভাপতি আনছারুল হক ভুট্টোর সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন, রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিপুটি ডিরেক্টর আবুল কালাম, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবদুল হাই, প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন কোম্পানি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নি, গর্জনিয়া চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কাউয়ারখোপ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহাম্মদ, ফতেখাঁরকুল চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, চাকমারকুল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, রাজারকুল চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রশিদ নগর চেয়ারম্যান এম.ডি শাহ আলম, আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার ফরিদ আহাম্মদ, রামু স্বেচ্ছাসেবলীগের সহ-সভাপতি এড: মোজাফ্ফর আহাম্মদ হেলালী, জেলা যুবলীগ নেতা পলক বড়–য়া আপ্পু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকান, সংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুর শুক্কুর, তাঁতীলীগের সভাপতি নুরুল আলম জিকু, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক, সৈনিক লীগের সভাপতি মিজানুল হক রাজা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক বাবু, সাংগঠানিক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ, ফতেখাঁরকুল স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি আজিজুল হক আজিজ, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও নোমান, প্রজন্ম লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবলা, সাধারণ সম্পাদক রিদোয়ানুল বিন শরীফ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইয়াছিন প্রমুখ ।