জাতীয় নিরাপত্তা ভয়াবহ হুমকির মুখে……..

ইব্রাহীম আজাদ বাবু

মিয়ানমারের মায়ানমারের আরকান প্রদেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধ্যুষিত এলাকায় আতংক থামছে না।
মায়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতায় ও পোড়ামাটি নীতির ফলে আরকানে এখন মানবিক বিপর্যয় চলছে। হত্যা, ধর্ষন, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগ থেকে পালিয়ে রক্ষা পাওয়া রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের বন-জঙ্গলে।
সেদেশের সেনাবাহিনী সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন নিপীড়ন ও নৃশংস নির্যাতন অসহায় রোহিঙ্গারা ঘরবাড়ি সহায় সম্পদ ত্যাগ করে অনুপ্রবেশ করছে এক কাপড়ে।
আসছি মূল কথায়,
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা।
বিশেষ করে কক্সবাজার জেলা টেকনাফ, উখিয়া, রামু,মহেশখালীতে রোহিঙ্গারা ডুকে বসবাস করছে।
গত প্রায় দু দশকের বেশি সময় ধরে
কুতুপালং ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা
শরণার্থী শিবিরে নিবন্ধিত ৫০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থী।
কিন্তু এর বাইরে আরও হাজার হাজার শরণার্থী মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করে বাংলাদেশ সরকার।
এরকম অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা অন্তত পাঁচ লাখের অধিক বলে মনে করা হয়।
মায়ানমারের সেনাবাহিনী কতৃক চলমান সংহিসতা ও নির্যাতনে
গত কদিনে বিভিন্ন সংবাদ মাধম্যের তর্থ্য মতে বাংলাদেশে দেড় লাখের ও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে, অতচ তার অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা দেড় লাখের ও বেশি বলে মনে করছে সীমান্তের পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন।
বাংলাদেশ অতিথিপরায়ণ হওয়ায় দুই দশকের বেশি সময় দরে তাদের স্থান দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আলাপ আলোচনা হলেও মায়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নিতে কোন আশানুরূপ সিন্ধান্ত নেয় নি।
মানবধিকার, মানবতার দোহায় দিয়ে
পশ্চিম মোড়লরা বাংলাদেশের ঘাঁড়ে রোহিঙ্গাদের দায়ভার চাপিয়ে চলছে দীর্ঘ সময় ধরে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ- পাকিস্তান যুদ্ধকালীন সময়ে এদেশের ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ৭-৮ মাস ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো।
বন্ধু প্রতিম দেশে হিসেবে ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিলো এদেশের মানুষ শরণার্থী ছিলো মাত্র ৭ থেকে ৮ মাস আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা দুই দশকের বেশি সময় ধরে শরণার্থী হিসেবে আছে।
আমাদের ১৭ কোটি জনগন উত্তরের জেলা গুলোতে বন্যা সমস্যা কারনে প্রায় অনাহারে খেয়ে, না খেয়ে মরছে বাঙ্গালী।
আমরা, আমাদের নিজ দেশের জনগনের মানবতা সম্পর্ণ রুপে রক্ষা করতে সামর্থ্য হয়নি সেই দেশের কাছে আবার মায়ানমার থেকে মানবতা ধার করে আনার কথা আশা করায় মুর্খতা।

বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলে চট্রগ্রাম,বান্দরবন, বিশেষ করে কক্সবাজারের অপরাধ রাজ্যের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এই রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজার শহরের কথায় আসি,

চুরি-ডাকাতি-সামাজিক অপরাধ বেড়ে গেছে এই রোহিঙ্গাদের কারণে।
জেলা যত সন্ত্রাসী উঠেছে তার বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।
জেলার পরিবেশ-বন-জঙ্গল ধবংস করে ফেলছে এই রোহিঙ্গারা।
বিদেশে বাংলাদেশি ভিসা ব্যবহার করে বাঙ্গালীকে দূরনামের ভাগি করে এরাই।
এই রোহিঙ্গারা ধর্মীয় জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাধী সংগঠনে তারা জড়িয়ে পড়ছে।
কক্সবাজারে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ক্যাম্পগুলো থেকে বেরিয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ জড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা ব্যবসায়
২০১৭ সালের গত ছয় মাসে চারটি আলাদা অভিযানে ধরা পড়ে ৩৮ জন, যার মধ্যে মিয়ানমারের নাগরিক ১৬ জন। দেড় বছরের মধ্যে ইয়াবাসহ মিয়ানমারের ২৪ শরণার্থী আটক করে শুধুমাত্র র‍্যাব।
কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষা প্রবাদ আছে “রোহিঙ্গারা যে পাতত হা ,
এ পাত ফুল গরে বর্মায়া ওলে।”
দুঃখজনক হলেও সত্যি বহু রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র ধারী ভোটার।
আমার ব্যাক্তিগত ধারনা মতে রোহিঙ্গারা এক সময় জাতীয় নিরপত্তার জন্যে হুমকী হয়ে দাঁড়াবে।

আর যে পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের মোড়লরা মানবতার নাম করে রোহিঙ্গাদের দায় ভার বাংলাদেশের ঘাঁড়ে চাঁপিয়ে রাখছে তাদের বড় বড় রাষ্ট্রতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায় না কেন ? তাদের এতবড় বড় দেশ গুলোতে কি রোহিঙ্গাদের রাখার জায়গা নেয়?
সম্প্রতি কিছু সমাজকর্মী নাম ধারী লোকজন রোহিঙ্গাদের সেবার জন্যে মেতেছে তাদের উদ্দ্যেশে আমার অনুরোধ থাকবে নিজ দেশের উত্তরঅঞ্চলের অসহায় বন্যাকবলিত বনবাসী মানুষদের পাশে দাঁড়ান, রোহিঙ্গাদের পাশে আন্তর্জার্তিক ভাবে বিভিন্ন দেশ সংস্থা পাশে দাঁড়াবে।
এদেশের মানুষের পাশে বাংলাদেশ সরকার ছাড়া আন্তর্জার্তিক কেউ পাশে দাঁড়ায় না।

লেখকঃ ইব্রাহীম আজাদ বাবু
সম্পাদক
কক্সনিউজ টোয়েন্টিফোর