কামাল শিশির,রামু (কক্সবাজার) :

গহীণ অরণ্যে অবস্থিত এবং উন্নয়নশীল একটি গ্রামের নাম গয়ালমারা । প্রায় ৬০টি পরিবারের বসবাস এ গ্রামে । অনেক বছর ধরে বসবাস করছে লোকজন উক্ত গ্রামে । গ্রামটিতে মুসলিম ও ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন ধর্মালম্বি লোকের বসবাস আছে ।

৭ সেপ্টেম্বর সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, পাহাড়ী আকাঁ বাঁকা পথ , উচু নিচু ,সমতল ও পাহাড় বেষ্টিত গ্রামটিতে রয়েছে প্রচুর চাষাবাদের জমি এবং কয়েক হাজার হেক্টর রাবার বাগান । চোখের পলক যে দিকে যাই শুধু চাষাবাদের জমি আর বাগান । প্রচুর সম্ভাবনাময়ী গ্রামটি নানা সমস্যায় জর্জরিত । গ্রামটি লামা উপজেলার পাহাশিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হলেও লামা এবং পাহাশিয়াখালী থেকে অনেক দুরে গভীর জঙ্গলে অবস্থিত । এমনকি লামা ও পাহাশিয়াখালী হতে গ্রামটিতে আসার কোন রাস্তা নেই । কক্সবাজার রামু উপজেলার ঈদগড় বাজার হয়ে উক্ত গ্রামে যেতে হয় সরকারী যে কোন বাহিনীকে । বলতে গেলে আলিকদম,লামা থেকে ঈদগড় এসে তারপর ঐ গ্রামে যেতে হয় । ঈদগড় বাজার থেকেও অনেক দুরে এ গ্রাম । পাহাড়ী দুর্গম পথ পেরিয়ে অনেক দুরের পথ কিছুটা গাড়ী এবং পায়ে হেটে খাল বিল অতিক্রম করে এ গ্রামে যাওয়া সম্ভব হয় । বর্ষাকালে যাওয়াটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে । ফলে গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগ দেখা দেয় । এখানকার লোকজন প্রতি শুক্রবার ঈদগড় বাজারে আসে কেনা কাটা করতে। এছাড়া ঈদগড় ও ঈদগাহ এলাকার প্রায় ৫০জনের মত ব্যক্তি ঐ গ্রামে কয়েকশত কোটি টাকা খরচ করে রাবার বাগান করে । গ্রামের লোকজন ও বাগান মালিকের সাথে আলাপ কালে জানা যায় , কয়েক বছর ধরে গ্রামটিতে উপজাতি সন্ত্রাসীরা অত্যাচার ,নির্যাতন চালাচ্ছে । এমনকি তাদেরকে চাদা দিতে হচ্ছে ।

এলাকার বাসিন্দা সর্দার নুরুল আজিম জানান , ভারী অস্ত্রধারী এসব উপজাতি ২০/৩০জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে গ্রামবাসীসহ বাগান মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে । দিনের পর দিন তাদের নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে । যে কোন সময় তারা গ্রামে ঢুকে পড়ে । স্থানীয় উপজাতীরা তাদেরকে খাবার সহ যাবতীয় সহযোগিতা করছে বলে জানান গ্রামবাসী রিদুয়ান । স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান ৫হাজার ,রশিদ আহমদ ৫ হাজার,মকবুল আহমদ ১০হাজার টাকাসহ এভাবে আরো অনেকেই চাদা দিয়েছেন বলে জানান এলাকার মৌলভি মোঃ মানিক । পিএসপি রাবার বাগানের ম্যানেজার সিরাজ জানান, গত মে মাসের ১তারিখ তাদের বাগানের অফিসে উপজাতী সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে তাকে চাদার জন্য চিঠি দেয় এবং বাগানসহ সব কিছু উড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় এবং ২০হাজার টাকা দামের ছাগলটি নিয়ে যায় ।

প্রোডাকশন সুপার ভাইজার আলমগীর জানান , উপজাতী সন্ত্রাসীরা বাগানের কর্মচারীদেরকে ধরে নিয়ে যায় । এগুলো ছাড়াও তারা আরো নানা ধরণের নির্যাতন চালায় বলে এলাকার শত শত নারী পুরুষ এ প্রতিবেদককে জানান । তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কিছুদিন পুর্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভিযান চালালে উপজাতি সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে । এরপর আবারো সংগঠিত হয়ে এলাকায় এসে অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান এলাকার লোকজন এবং রাবার বাগান মালিকরা বাগানে যেতে পারছেনা । তাই এলাকাবাসীসহ রাবার বাগান মালিকরা উক্ত এলাকায় একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেছেন ।