প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজারের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘পুনর্মিলী উৎসব-২০১৭’ বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে। ‘ছড়িয়ে গিয়ে জড়িয়ে থাকি, প্রীতিতে স্মৃতি অটুট রাখি’ শ্লোগানে ৫ সেপ্টেম্বর বিয়াম ফাউন্ডেশনের ‘ইনানী মাল্টিপারপাস হলরুমে এই পুনর্মিলীন উৎসব উদযাপিত হয়।

এই পুনর্মিলনী উৎসবের উদ্বোধন করেন নুরুল হক বীরপ্রতীক। উৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আবুল মনসুর, সাবেক শিক্ষক এড. রতন বড়–য়া ও রাইসা সোলতানা মেরি।

সকাল ৮টায় কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী উৎসবের সূচনা করা হয়। কোরআন তেলোয়াত করেন, রহিম উল্লাহ (২০১৫)। অভ্যর্থনার পর শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এরপর উৎসবের মুল অনুষ্ঠানে শুভ উদ্বোধন করে নূরুল হক বীরপ্রতীক। উদ্বোধনের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ সাইমুম সরওয়া কমল বলেন, বিদ্যালয় হচ্ছে শৈশবের স্মৃতিঘেরা শিক্ষার সময়। এই স্মৃতি একজন মানুষ সারা জীবন আনন্দের সাথে বহন করেন। বিদ্যালয়ের আঙিনা পেরিয়েই একজন ছাত্র উচ্চ শিক্ষার আসরে পদার্পণ করেন। বায়তুশ শরফের এই এক ঝাঁক প্রাক্তন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয় পেরিয়ে নব ও উন্নত জীবনের পদার্পণ করেছো। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তোমরা দেশ ও মানুষের জন্যই কাজ করবে- এই আমাদের কামনা।

উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক জিয়াউক হকের (২০০৭) সভাপতিত্বে ও মইন উদ্দীনের (২০১১) ও তাহরিমা আকতার মিল্কীর (২০১৬) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত পুনর্মিলনী উৎসবে ছাত্রদের মধ্যে থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ফয়েজুল আলম (২০০৬)। আরো বক্তব্য রাখেন, জিনুল ইসলাম বাপ্পি (২০০৮), সাদ্দাম হোসেন (২০০৮), নূরুল হোসেন আলতাফ (২০১০), ফয়সাল রিদুয়ান (২০১৩), ইউবিন (২০১৩), সেলিম উল্লাহ (২০১৪), ফয়সাল সিজন (২০১৫), নাহিন জামান (২০১৬), রহিমা আকতার (২০১৬) ও আল মোস্তফা হাসান (২০১৬) প্রমুখ। আলোচনার সভার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, স্মৃতিচারণ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। শেষে পুনর্মিলনী উৎসব উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘প্রাক্তন’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

পুনর্মিলনী উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, রিয়াদ, আল আমিন, রিপন, সোহেল, কামরুল, আজওয়াত, সাজ্জাদ, মুন্না, আরমান, সজীব, মোস্তাফিজ, মান্না, আজাদ, রুবেল ধর, সাঈদ, ইরফান, জেকি, মুরাদ, শাকিল, ওয়ান ওয়ান, হ্যাপী, শামা, ফাহমিদা, ইমতিয়াজ, শাহেদ, মাসুম, মেহেদী, রূপা, তামান্না, রহিম, শাকিব, মক্কি, আরজিনা, ফাত্তাহ্, তাজ, সামি, সজীব, মানিক, তাজবি, মোমতাহিনা, মিশকাত, এহেছান, সাইফুল, সুমী প্রমুখ।

বায়তুশ শরফের মহাপরিচালক এম.এম সিরাজুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ করিমের সার্বিক সহযোগিতায় পুরো উৎসব উদযাপন করা হয়।