প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মায়ানমার সরকার কর্তৃক গণহত্যা, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন থেকে প্রাণে বেঁচে আসা কক্সবাজার জেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রতি সরকারের মানবিক দৃষ্টিকোণের পাশাপাশি এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন পেশার লোকজন তাদের ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রামুর পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বৃহত্তর আশারতলি সাপমারা ঝিড়ি জিরো পয়েন্টে বিজিবির কড়া পাহারায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদেরকে খিচুড়ী বিরিয়াণীর প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
এসময় উদ্যোক্তা ছিলেন বাঁশখালীর বাসিন্দা, বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ছানুবী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রামু ফতেখাঁরকুল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী আলহাজ্ব গফুর মিয়া।
উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা সৈনিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরহাদ, রেফারি ওমর ফারুক মাসুম, ব্যবসায়ী সালেহ আহমদ, মেধাবী ছাত্র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নাদেম হাসান, আনোয়ার, বাবর ও রমজান আলী।
সকাল ৯টায় রামু চৌমুহনী স্টেশন থেকে ২টি জীপযোগে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বৃহত্তর আশারতলি জামছড়ি এলাকায় পৌঁছায়। এরপর আনুমানিক ৩ কিলোমিটার পাহাড়ের সরু পথ দিয়ে পায়ে হেটে ৪টি উঁচু পাহাড় পার হয়ে সাপমারা জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছে যায়। অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায় মায়ানমারের অত্যাচার সইতে না পেরে প্রতিদিন নতুন নতুন রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঢুকে অবস্থান নিয়েছে। আশারতলি সাপমারা ঝিড়ি জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আর্তনাদ, বুকফাটা কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মঞ্চের বাঁশখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ছানুবী বলেন, একজন মানুষ হিসেবে অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। সেই জন্য লেখালেখির পাশাপাশি বাঁশখালী থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে এসেছি। সরকারের পাশাপাশি এলাকার বিত্তশালীদের রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।