নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের বড়বাজারে শুরু হয়েছে রাত্রিকালিন বাজার ব্যবস্থা। গত সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাজার ব্যবস্থা চালু হয়। এখন থেকে তাজা মাছ, কাঁচা তরকারিসহ সব ধরণের নিত্যপণ্য সামগ্রি সার্বক্ষণিক পাওয়া যাবে।
সূত্রমতে, কক্সবাজার শহরের অন্যতম বাজার হচ্ছে ‘বড়বাজার’। কিন্তু এখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজার খোলা থাকে। একারণে বিকাল অথবা রাতের বেলায় অনেকে নিত্যপণ্যের বাজার বঞ্চিত হত। কিন্তু পৌরবাসির দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের সুবিধার জন্য সার্বক্ষণিক বাজার ব্যবস্থা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা।
পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কয়েকদফা বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বড়বাজারে রাত্রিকালিন বাজার ব্যবস্থা চালু করেছে ব্যবসায়ীরা। ফলে এখন থেকে সকাল সাতটায় শুরু হয়ে বড়বাজার খোলা থাকবে রাত ১২ টা পর্যন্ত। এই সময়ে ক্রেতারা সব ধরণের নিত্যপণ্যের জিনিস ক্রয় করতে পারবেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বড়বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বড়বাজারের মাছ বাজারের শেডে ব্যবসায়ীরা মাছের ঝুঁড়ির পসরা বসিয়েছেন। ক্রেতারা পছন্দের মাছ গুলো বেছে নিচ্ছেন। সকালের বাজারের মত রাতের বাজারেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। একই সাথে কাঁচা তরকারির শেড, মাংসের শেডসজ অন্যান্য শেড গুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।
মো. ইউনুছ (৪০) নামে এক ক্রেতা জানান, মাঝে মধ্যে ব্যবস্তার কারণে সকালে বাজার করা হয় না। একারণে বিকালে বাজার করতে অনেক সময় বিপাকে পড়তে হয়। কিন্তু বড়বাজারে রাত্রিকালিন বাজার চালুর কারণে অফিস শেষ করেও বাজার করতে পারছি। এটি চালু রাখার দাবী জানান তিনি।
বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার করিম জানান, রাত্রিকালিন বাজার পৌরবাসির দীর্ঘদিনের দাবী। নানা কারণে এতদিন চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন থেকে রাত্রিকালিন বাজার চালু থাকবে। সকাল সাতটা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত বড়বাজারে সব ধরণের পণ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
ওই সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা জানান, এখন থেকে বড়বাজারে সার্বক্ষণিক তাজা মাছ পাওয়া যাবে। একই সাথে মাংস. তরকারিসহ সব ধরণের মানসম্মত পণ্য পাওয়া যাবে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, পৌরবাসির দাবীর প্রেক্ষিতে বড়বাজারে রাত্রিকালিন অর্থাৎ সার্বক্ষণিক বাজার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।