আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ

উপরের ছবি দুইটা কক্সবাজার ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি ত্রান বিতরনকালে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত রেখার ঝিম্মংখালী এলাকা থেকে তোলা। যে বাচ্চা টিকে দেখতেছেন তার বয়স ৬ নাম মরিয়ম, তার মামার বয়ান দিয়ে জানা যায়, তার মাকে ধর্ষন করে মেরে ফেলেছে সেখান কার মিলিটারি বাহিনি এবং তার বাবাকে করেছে গুলি। অবুঝ মরিয়মের কিছু করার ছিল না। সে প্রানে রক্ষা পায়, সে লুকিয়ে ছিলে ঝোপের মধ্যে, তাদের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। তার মামা ও মামি তাকে নিয়ে ৬ দিন হেটে চলে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। জানি না এই বাচ্চা টির ভবিষ্যৎটা কি রকম হবে।

দ্বিতীয় ছবিটির ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ হোসেন। প্রচুর সম্পদ ছিল তার, খামারে ছিল শ- কানেক গরু ২০০ মত মহিষ। জায়গা জমিও আছে ৫০ শতক মত, তবে আজ সে রোহিঙ্গা শরণার্থী। ঠাঁই হয়েছে বাংলাদেশের কোন এক পাহাড়ে। চোখের সামনে তার খামার বাড়ি জ্বলতে দেখে এখনো হাহাকার করে কান্না করে।  নেই তার ছেলে মেয়েও। সবাই মিয়ানমার মিলিটারির হাতে নিহত। ঘরে কাজ করা দুই জনের সাহায্যে কাঁধে ভর করে তিনি এখন বাংলাদেশে।

এমনো হাজারো মর্মাঘাত চিত্র নিজ চোখে দেখে এবং শুনে আসলাম। বাংলাদেশে সরকারি হিসাব মতে ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করলেও তা বেসরকারি ভাবে লক্ষাধিক হবে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বয়ানে জানা যায়, সেখানকার মিলিটারি বাহিনি হাজার হাজার ঘর বাড়ি পুড়িয়ে, নারীদের ধর্ষন করে এবং যুবকদের হত্যা করে। তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশে পার করিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয় হলো নতুন করে অনুপ্রবেশ করা  লক্ষাধিক এবং আগেই থেকে রয়েছে ৫ লক্ষাদিক রোহিঙ্গার কারনে দেখা দেবে সংকট । সেই সাথে বেড়ে যাবে নানা ধরনের অপরাধ।

টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শোনা গেছে, কিছু অসাধু চক্র আগত সুন্দর রোহিঙ্গা নারীদের ধরে তাদের বাসার কাজ পাইয়ে দিবে বলে ধর্ষন এবং বেইশ্যাভিত্তিতে প্রবেশ করতে বাধ্য করতেছে। এই ক্ষেত্রে আমি প্রশাসন কে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করতেছি। এবং এই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ব রাজনীতিবিদদের কাছে আকূল আবেদন করলাম।

লেখক- আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এডমিন- কক্সবাজার ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি