ডেস্ক নিউজ:
আগামী বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার সচিবালয়ে এসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি, আগামী বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে তাদের পরিকল্পনা এঁটেছে, তাতে তাই মনে হয়। ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও কিছু এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সামনে আর তেমন কোনও কাজ নেই। এ কারণে মনে হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন খুব কাছে।’
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সচিবালয়ে ঢোকেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন খুবই কাছে। তবে গ্রামে নির্বাচনি আমেজের তেমন কোনও চিত্র চোখে পড়েনি। মানুষের মধ্যে এখন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ আছে। এ বিষয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন, একইসঙ্গে ক্ষুব্ধও।’
তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিতে নোবেল প্রাইজ জয়ী অন সাং সু চি রোহিঙ্গা নির্যাতনকে কিভাবে সমর্থন করে যাচ্ছেন, বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। এ নিয়ে তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা ঘৃণিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইছি। আবার মিয়ানমারের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘মির্জা ফখরুল আগামী নির্বাচনে সরকারকে কোনও ছাড়া দেওয়া হবে না বলে যে মন্তব্য করেছেন তা অর্থহীন। আমরা কি তাদের কাছে কোনও ছাড় চেয়েছিলাম; না তারা আমাদের কোনও ছাড় দিয়েছিলেন? বরং নির্বাচনে আনার জন্য আমরা তাদের অনেক ছাড় দিয়েছিলাম, তারা তা গ্রহণ করেননি। আশা করছি, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। রাস্তায় ভ্রমণও ছিল স্বস্তিদায়ক। এত বড় বন্যার পর সড়ক বিভাগ অল্প সময়ের মধ্যে যেভাবে রাস্তাঘাট মানুষের চলার উপযোগী করে মেরামত করেছে, তাতে তারা কৃতিত্বের দাবিদার। এবার ঈদে বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, এই ব্যাপারটাও স্বস্তি দিয়েছে। এছাড়া আবহাওয়াও ছিল চমৎকার।’