অধ্যাপক রায়হান উদ্দিন :

বর্তমানে পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হচ্ছে বলে মনে হয় রাখাইন বৌদ্ধদের আচরন মধ্যযুগের মগদের অসভতাকেই স্মরন করিয়ে দেয়।। বছর খানেক আগে কিংবা তারো আগে এমন একটা পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছিল। মায়ানমার সরকারের অসহযোগীতর কারনে তা সৃস্টি হয়েছিল।। বর্তমানে আবার নুতন নুতন সমস্যা  একই আদলে। বাংলাদেশের উচিত এ ব্যাপারে একটা শক্ত অবস্থঅনে আসা। কারন পাশের ঘরে আগুন জ্বললে সে আগুন নিজের গৃহে জ্বলা অসম্বব্ কিছু নয়। তাই ঘর রক্ষার্থে হলেও প্রতিরোধমুলক অসস্থায় অবস্থান করা দরকার। তবে ভীত সন্ত্রস্থ রোহিঙ্গাদের পুশবেক করা চরম অমানবিকও বটে। পুশবেকেবর নামে তাদের বাঘের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। স্মরন রাখতে হবে একদিন তারাও আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। ঠেলে তো দেয়নি।এদের প্রবেশ পথ উন্মুক্ত রাখা দরকার।তা অবশ্য জাতিসংরেঘর মাধ্যমে। আমারদের প্রধান মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব জনাব এইচ  টি ইমাম  বি বি সির এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, “রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমার সরকারের স্বীকৃতি এবং  নাগরিকত্ব দিতে হবে।|

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধোনে বাংলাদেশের দৃস্টিভঙ্গী কতটুকু কার্যকর হয়েছে তাই আমাদের দেখার বিষয়। বাংলাদেশের এবং  বরমী কর্তৃপক্ষ ১৯৭৮ সালে ৯ ই জুলাই বাংলাদেশে থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়ে   রাস্ট্রিয় ভবনে বাংলাদেশ এবং বারমা কর্তৃপক্ষ  এক সমঝোতা স্মারকে (agreed minutes) স্মারকে সাক্ষর করে। বাংলাদেশের পক্ষে পররাস্পট্র সচিব তোবারক হোসেন ও বার্মার পক্ষে উপ পররাস্ট্র মন্ত্রী  উ টিন অং সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন।| সমঝোতা স্মারকের মুল অংশে উল্লেখ করা হয়েছে এই রকম t  –

    1. The Govt of the Socialist Republic of The Union of Burma agrees to the repatriation at the earliest of the lawful residents of Burma who are now sheltered in the camps in Bangladesh on the presentation of Burmese National Registration cards along with the members of their families, such as, husband, wife, parents, parents – in – law, children, foster – children, grandchildren, son – in – law, daughter –in – law and widowed sisters.
    2. The Government of the Socialist Republic of the union of Burma also agrees on the second phase to the repatriation of the people who are able to present their documents issued in Burma with indication their residence in Burma, along with the members of their families, such as husband , wife parents , parents –  in – law , children, foster – children, grand children, son – in – law, daughter – in – law children, foster – children , grand children, son in law , daughter in law  and widowed sisters and also those persons and the members of their families such as husband , wife, parents, parents – in – law, children, foster children, grandchildren, son – in law , and widowed sisters, who will be able to furnish evidence of their residence in Burma, such address of any other particulars.
    3. The residents of Burma mentioned in paragraph (1) above will be received on the border by the authorities of the Govt, of Burma in batches from the authorities of the Govt of Bangladesh. The process of repatriation of such residents will commence not later than August 31, 1978, and is expected to be completed within six months from the date the first batch is received.

& এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা স্মারকের মুল বিষয়ে বেশ কিছু লক্ষনীয় বিষয় আছে। যেমন: – বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গারা জন্ম সুত্রে বার্মার নাগরিক হওয়া সত্বেও স্মারকে তাদের Lawful citizen of Burma  না বলে lawful Resident  of Burma বলা হয়েছে। Lawful citizen of Burma বলাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি পরিস্কার নয়। কেননা Citizen শব্দের অর্থ রাস্ট্রের নাগরিক,   A person who has full rights as a member of a country ,either by birth or by being given such rights. পক্ষান্তরে resident হলো বসবাসকারী, বাসিন্দা অরথাৎ A person who lives or has a home in a place , not a visitor.

বাংলাদেশ সরকার বরাবরই রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি গুরুত্ত্বের সাথে খেয়াল করলেও স্মারকে এমন ধরনের শব্দের ব্যবহার ছিল রহর্স্য জনক |পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের পাশাপাশি তৎকালীন প্রদানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯২ সালে ২১ ষে মার্চ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বৃট্রোস ঘালি  র সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সে প্রেক্ষিতে জাতিসঙঘের  মহাসচিবের বিশেষ দুত জাতিসংঘ আনডার সেক্রেটারি জান কে এলিয়াসন বরমা এবং বাংলাদেশে মোট ছয় দিন সফর করেন। ১৯৯২ সালে ২৩ শে এপ্রিল মায়ানমারের পররাস্ট্র মন্ত্রী উ অন গিয়াও ১৪ জন সদস্য নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। রোহিঙ্গা প্রত্যঅবাসনকল্পে একটি ত্রি পক্ষিয় চুক্তি সাক্ষররিত হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে দ্বিপক্ষিয় আলোচনার প্রথম পরযায়ে মিয়ানমারে বসবাসকরা বা নাগরিকত্বের সামান্যতম প্রমাণ থাকলেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে সম্মত থাকলেও জাতিসংঘকে এ ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে জড়িত রাখার ব্যাপারে মায়ানমার সরকার রাজি ছিলেন না। ছয়দিন ব্যাপী বেশ কয়েকদফা আলোচনা চলে। কিন্তু স্থায়ী কোন চুক্তির ব্যাপারে মায়ানমারকে রাজী করানো যায়নি।

ছয় দিনের এ রুদ্ধদার বেঠকে একটি জয়েন্ট স্টেটমেন্ট প্রনীত হয়। তা হলো নিম্ন রুপ: –

“Joint statement by the foreign Ministers of Bangladesh and Myanmar issued at the conclusion of the official visit of the Myanmar foreign minister to Bangladesh from 23 – 28 April. 1992”

  1. The exodus of people from Myanmar to Bangladesh to be stopped immediately.
  2. Repatriation of the refugees to their original place of residence in honor, safety and dignity.
  3. Undertaking of certain confidence building measures such as withdrawal/ cutback of troops from border areas/forward position.
  4. Lasting solution of the problem in the sense that there should be no recurrence of suck or similar problems in future.

কিন্তু এ চুক্তি সাক্ষরের পর পরই রাস্ট্রিয়  অতিথিভবন “পদ্মায়”  যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের উপর নিরযাতনের এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের পররাস্ট্র মন্ত্রী বলেন,“ রোহিঙ্গাদের উপর অত্যঅচারের অবিযোগ ভিত্তিহীন, মুলত গুজবের উপর ভিত্তি করে তারা দেশত্যাগ করেছে।” এ চুক্তিতে ইউ এ্ন এইচসি আরকে শরণারথিদের জন্য ত্রাণসামগ্রী যোগান দেওয়া ছাড়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা হয়নি।

পরবর্তিতে ১৯৯২ সালে  ২২ শে আগস্ট চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার  ওমার ফারুক এবং মিয়ানমারের অভিবাসন ও জনশক্তি বিভাগের ডাইরেক্টর উ মং অং এর নেতৃত্বে এক বৈঠক অনুস্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আরাকান সফরের অনুমতি প্রদান করা হয়। এবং তাদের চলাচলের উপর বিধিনিষেধ রদ করা হয়। নামাযের সময় মসজীদে মাইক ব্যবহার করতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ইউ এন এইচ সি আর কে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার বিষয়টি বিব্চেনায় আছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের চিন্তাশীল মহলেও চুক্তির ব্যাপারে মত পার্থক্য দেখা গেছে।তাঁদের মতে , রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবাসনে বার্মার সঙ্গে কার্যত কোন চুক্তি হয়নি। যদিও সরকারী পরযায়ে এটাকে চুক্তি হিসেবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। যে ঘোষনাকে চুক্তি বলা হয়েছে , এটিকে প্রথমে যৌথ ঘোষনা , জয়েন্ট স্টেটম্যান্ট বলে উল্লেখ করা হয়। কোন বিষয়ে দুদেশ চুক্তি করলে সেটা পালনে সে বাধ্য থাকে । একটি অতি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে ধীর্ঘদিন আলাপ আলোচনার পর কেবলমাত্র যৌথ ঘোষনা বলে চলিয়ে দিলে সমস্যা সমাধান আদৌ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। শরণার্থী বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের উপর যথেস্ট চাপ সৃস্টি করলেও তাদেরকে রাজি করাতে পারেনি। ১৯৯২ সালের ২৭ শে এপ্রিল সোমবার রাতে দীর্ঘ বাক বিতন্ডার পর আলোচনা ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হলে বাংলাদেশ শেষ পরযন্ত জয়েন্ট স্টেটম্যান্টে রাজী হয়ে সাক্ষর করে।

ইউনাইডেট নেশন ১৯৭৮ – ৭৯  সালে শরণার্থী প্রত্যাবসনে সাত বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিলেও জয়েন্ট স্টেটম্যান্টে একে উপেক্ষা করা হয। শরণার্থীদের সংখ্যা নিয়েও কোন সমঝোতা হয়নি। বাংলাদেশে প্রায় সোয়া দুই লাখ শরণার্থী আশ্রয় নেওয়অর কথা বলা হলেও মায়ানমার থেকে এ ব্যাপারে স্পস্ট কিছু  না বলে কেবলমাত্র বলা হয়েছে যারা নিজেদের মায়ানমারের শরণার্থী হিসেবে প্রমান করতে পারবে তাদেরকেউ ফেরত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে এখানে আবাসিক পরিচয়পত্রের কথা  (আয়ডেন্টি কার্ড )  বলা হলেও মায়ানমারে রোহিঙ্গা উচ্ছেদের আগে পঞ্চাশোর্ধ বয়সের সকলের কাছ থেকে আবাসিক পরিচয় পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সরকারে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহযোগিতায় ১৯৯২ সালের ২৮ শে এপ্রিল মিয়ানমার তাদের রোহিঙ্গা শরনার্থীদের স্বদেশে ফেরত নেবার সম্মাতি জ্ঞাপন করে। মিয়ানমারের ডপররাস্ট্রমন্ত্রী উ অহন গিয়াও এবং বাংলাদেশের পররাস্ট্র মন্ত্রি মোস্তাফিজুর রহমান এর মধ্যে রাস্ট্রিয়  অথিতি ভবন ‘পদ্মায়’ যৌথ ঘোষনা (জয়েন্ট স্টেটম্যান্ট) স্বাক্ষরিত হয়। এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের পররাস্ট্রমন্ত্রী উ অহন গিয়াও বলেন“ সংখ্যঅর বিষয়টি কোন গুরুত্বপুর্ন বিষয় নয়, যারা বাংলোদেশে চলে এসেছে তারা স্বগৃহি ফিরবে। এ ক্ষেত্রে কোন বড় ধরনের বাঁধা রয়েছে বলে আমি মনে করিনা। এমনকি যারা নিজ এলাকার হেডম্যান  এর নাম বলতে পারবে তাদের স্বরনশক্তি থেকে রেফারেস্ন দিতে পারবে তাদেরকেও ফেরত নেওয়া হবে।” জবাবে পররাস্ট্র মন্ত্রী বলেন রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের কথা অস্বীকার করে বলেন, “মুলত: গুজবের উপর ভিত্তি করেই রোহিঙ্গারা দেশত্যাগ করেছে।“ সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন“সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করা হয়নি।, বরং সীমান্তে নিয়ম অনুযায়ী শুধু বর্ডার পুলিশ রয়েছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে মায়ানমারের পররাস্ট্র মন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ এদেশের রোহিঙ্গা পরযবেক্ষক মহলকে ভাবিয়ে তোলে।

বাংলাদেশে এখন প্রায় একুশটি ক্যাম্প বন্ধ করে ‍দুটি ক্যাম্প  রয়েছে। এ দুটি ক্যাম্পে প্রায় ৩০- হাজার শরনার্থী রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্তা তাদের দেখা শোনা করে । এর বাইরে আরো অফুরন্ত আনরেজিস্টার্ড শরনাথী এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এখনো আসছে।  কিছু শরণাথী আবার  প্রত্যাবাসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভিন্ন সময় তাদের উপর তথাকথিত জরিপ করে থাকে। এটি অবশ্য তাদের রোটিন ওয়ার্ক বলা চলে। তাদের প্রয়োজনে ‍ক্যাম্পে অবস্থানরত মুস্টিমেয় কিছু রিফিউজিদের নিয়ে এ জরীপ কাজ হয়ে থাকে। এভাবে আশ্রয়বিহীন, নিয়ন্ত্রনবিহীন,  খোলামেলা অবস্থান কোন দেশের রিফিউজিদের বেলায় হয় কিনা আমার জানা নেই। বিশারকায় পাহাড় ন্যাড়া করে ঝুপড়ি বেধে বছরের পর বছর ছোট্ট কামরায় মানবেতর জীবনযাপন কোন দেশে আছে কিনা আমার সন্দেহ হয়। কেম্প থেকে ৪০ কিলোমিটার , ৬০ কিলোমিটার দুরে সাব অফিস করে নিয়ন্ত্রন একরকম আশ্চর্যই মনে হয়।  ককসবাজার থেকে সাদা গাড়ী নিয়ে  কর্মকর্তারা আসতে আসতে দুপুর গড়ায়। বিকেল পাঁচটার আগে অফিসে পৌছাতে হয়। এর পর নিয়ন্ত্রনবিহীন শরনার্থী কেম্পর দায়িত্ব পুলিশ এর  উপর দেওয়া হয়। শরনার্থী কেম্পের কাছে সাব অফিস থাকলে কি কোন অসুবিধা হতো । জায়গা জমি তো অনেক আছে । বাংলাদেশ পরযটন কর্পোরেশনের কাছে লক্ষ লক্ষ ভাড়া বেচে যেতো। যাহোক আমেরিকার কাজ কারবার তো বলা মুশকিল। গোটা কেম্পে খুন খারাবী তো লেগেই আছে। পুলিশের পক্ষে নিয়ন্ত্রন করা অত সহজ নয়। কারন তাদেরও তো চেইন অব কমান্ড আছে। স্মরন করা যেতে পারে একসময় নয়াপারা কেম্পে ৯৪, ৯৫ কিংবা ৯৭ সালে রিফিউজিরা বিদ্রোহ করেছিল। প্রায় বছর খানেক কেম্পে কাউকে ঢুকতে দেয়নি। কি ভয়াবহ ছিল বলাই মুশকিল। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমমীম খেতে হয়েছিল তাদের নিয়ন্ত্রনে আনতে। দীর্ঘ বছর দেড় এক পর তাদের অনেক কষ্ট করে নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছিল। অনেক সময় নিরাপদ বেষ্টনীর কথা বললেও তা  করা হয়নি। আসলে জাতিসংঘ অফিস তাদের নিরাপদ বেস্টনী সহ গতিবিধীর উপর তেমন নজর রাখেননি।  আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি শুধু মনিটরিং এবং  মানবিক সাহায্য্র কথা বলে থাকেন, তাদের গতিবিধি চলাফেরার ব্যাপারে কোন নজর রাখেননি। বিষয়টি আরো একটু পরিস্খার করে বলি, ২ টাকা , পাঁটটাকা দিলে পুলিশ রিফিউজিদের বাইরে যেতে দেয়। তারা বাইরে মুঠে মুজুরের কাজ করে থাকে। মসজিদ মাদ্রাসায় ইমামতি, পড়াশোনা ইত্যাদী করে থাকেন।  একসময়  রিফিউজি দিবসে প্রীতি ফুটবল , ক্রিকেট টিম করে বিভিন্ন কলেজে , স্কুলে রিফিউজিদের ম্যাচ গঠন করে প্রতিযোগিতা দেওয়া হয়। এজন্য যাবতয়ি খরচ তারাই বহন করেন। হয়তো দেখা গেছে কোনদিন তাদের অবাদে পড়াশোনার বিষয় নিয়ে ও প্রস্তাব  দিয়ে বসবে। উল্লেখ্য অনেক রিফিউজিকে অনেক উন্নত দেশে পুনরবাসিত করা হয়েছে। আমরা জানি রিফিউজিদের পড়াশোনার ব্যাপারে ইউনিসেফ , টাই নামক সংস্থা কেম্পে রিফিউজিদের পড়াশোনার ব্যাপারে কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে বর্মি ভাষায় বই ছাপানো হয়। কেম্পে পড়ানো হয়। কিন্তু মাঝে মধ্যে দেখা গেছে শরনারথি শিশুদের বাংলাও পড়ানো হচ্ছে। এ ব্যাপারটি আমার বোধগম্য নয়। তাদের পড়ানো উচিত আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজির সাথে তাদের মায়ানমারের বারমিজ ভাষা । বাংলা পড়ানোর কি দরকার। তারা তো এদেশে থাকর জন্য আসেনি। নিজ ভাষা না জানা তাদের অনগ্রসরতা এবং বিপরযয়ের অন্যতম কারন।