সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া:
আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে উখিয়ার গ্রাম-গঞ্জের বাজার সহ সর্বত্র জমে উঠেছে পশুর হাট। সরগরম বাজার গুলো। তবে ত্রেুতা বিত্রেুতার অভিযোগ এবারে টেীল আদায়ের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা। এবারের কোরবানির বাজারে প্রচুর দেশি গরুর সমাগম হলেও বিক্রি হচ্ছে কম। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের সংঘাতের ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিপুল পরিমান গরু এবার বাজারের সাথে যোগ হয়েছে। ফলে দাম কিছুটা কমার কথা থাকলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা গরুর দাম ধরে রেখেছেন। যে যেভাবে পারবেন বিপুল পরিমান মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ত্রেতাদের অভিযোগ, এ বছর গরুর দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকার কথা থাকলে ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারনে বাজারে তার প্রভাব পড়ছেনা। গরুর দাম বাড়তিই বলা যায়। যে কারণে বাজারে লোকসমাগম বেশি হলেও গরু বিক্রি হচ্ছে কম। তবে সামনের দিনগুলোতে ভালো বেচা-কেনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন গরু ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে প্রচুর সংখ্যক গবাদি পশু আমদানি হওয়ায় উখিয়া-টেকনাফ তথা কক্সবাজারে গরু সংকট থাকছে না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। অস্বস্তির কারনও অবশ্য রয়েছে ত্রেুতা-বিত্রেুতার। টৌল আদায়ের ক্ষেত্রে বাজার ভেদে ইজারাদাররা খেয়াল খুশিমত টাকা আদায় করছেন ত্রেুতা বিত্রেুতা উভয়ের কাছ থেকে।

গতকাল শনিবার উখিয়ার বৃহত্তম গরুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ গরু স্থানীয় গৃহপালিত এবং বৈধ উপায়ে গরু বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারাও নিয়ে এসেছেন বিপুল পরিমান গরু। গরু ব্যবসায়ী বাদশা আলম জানায়, স্থানীয়ভাবে বিপুল পরিমান দেশী গরু এসেছে। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে ব্যাপক হারে গরু আসায় কোরবানিতে পশু সংকট হবে না। যেহেতু এখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা এমনিতেই গৃহপালিত গরু কিনতে পছন্দ করে। তার মতে,গরুর বাজার ত্রেুতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। অন্য এক গরু ব্যবসায়ী সবিব্বর আহাম্মদ জানান, মিয়ানমার থেকে গরু আসার কারণে তুলনামূলক দাম অনেকটা কমেছে। তবে ত্রেুতাদের মিশ্র প্রতিত্রিুয়া লক্ষ্য করা গেছে,ত্রেুতাদের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকার কথা বললেও মিয়ানমারের থেকে যে হারে গরু এসেছে সে তুলনায় দাম আরো কিছুটা কমার কথা ছিলঅ। যা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারনে হয়নি বলে অনেক ত্রেুতা মনে করেন। বাজারে গরু ক্রয় করতে আসা কবির আহমদ জানায়, ছোট সাইজের যে গরু এক সপ্তাহ আগে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সে গরু এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার টাকায়। একাধিক ক্রেতা জানান, মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বড় ও ছোট গরু অনেকাংশে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে সামনের বাজারগুলোতে গরুর দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসতে পারে বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এদিকে গরুর টৌল আদায়কে ক্ষেত্র করে ত্রেুতা বিত্রেুতা উভয়ের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বাজার ভেদে ইচ্ছেমতো টৌল আদায় করছেন ইজারাদাররা। উখিয়া বাজারে গতবছর গরুপ্রতি টৌল ছিল ৫০০ টাকা । যা এক লাফে এ বছর হয়েছে ৮০০ টাকা। গরু প্রতি এভাবে বাড়তি টৌল আদায়ের কারনে অনেক বিত্রেুতা উখিয়া বাজারে গরু বিত্রিু না করে অন্য বাজারে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। তাছাড়া ইজারাদার নিয়োজিত শতাধিক রসিদ মাষ্টারের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ত্রেুতা-বিত্রিুতাদের কষ্টের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাজারের ইজারাদার তৌহিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল কেটে দেন।