আসাফ উদ্ দৌলা (আশেক)

টুয়াক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক

পর্যটনকে বিশ্বব্যাপি অনেকে অনেকভাবে সঙ্গায়িত করলেও ঘুরে ফিরে সকলের বার্তায় সামঞ্জস্য থেকে যায়। ইংরেজী ট্যুরিজম শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ পর্যটন যা এদেশে অনেকের কাছে এখনো সামগ্রিকভাবে অপরিচিত। বাংলাদেশে পর্যটনের সূচনাকাল ৪৫ বৎসর হলেও স্বীকৃতি অর্জন আজো সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত পর্যটন বলতে আমরা ভ্রমনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সকল অনুসঙ্গকে বুঝি। পর্যটনের পরিধি এত বিশাল যা আমাদের অনুমানের মধ্যে এখনও আসেনি। বর্তমান বিশ্বে ৮০ থেকে ৯০ প্রকারের পর্যটন চর্চা থাকলেও তার মধ্য ১০ থেকে ১৫ প্রকার পর্যটনের সাথে আমাদের পরিচিতি হবার সুযোগ হয়েছে। পর্যটনের ব্যাপকতার দিকে না গিয়ে যতটুকু অর্জন আমরা করেছি তা কি টেকসই পর্যটনে রূপ দিতে পেরেছি। নাকি ভবিষ্যত প্রতিযোগিতায় আমরা হেরে যাচ্ছি তা মূল্যায়ন করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন স্থায়ী করতে গেলে আমাদের কি ধরনের দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চা করতে হবে তা নিয়ে জানতে হবে ।

এত বিশাল পরিধির পর্যটন শিল্পের একমাত্র নিয়ামক হচ্ছে এক শব্দের পর্যটক। তাই দায়িত্বশীল পর্যটন বুঝবার আগে পর্যটক শব্দটির আদিপদ্য না বুঝলে পর্যটনই ভেস্তে যাবে। ইংরেজী ট্যুরিষ্ট শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ পর্যটক যাকে ঘিরে বিশ্বে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। অথচ কে কখন পর্যটক হবে তা কেউ জানেনা। এই অজানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠে পর্যটন অঞ্চল। সাধারণত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ভ্রমন, বিনোদন, অবসর ইত্যাদির উদ্দেশ্যে নিজের বাসস্থান থেকে দুরে কোন স্থানে পর্যটন বলয়ের মধ্যে একের অধিক রাত্রি অবস্থান করে টাকা বিনিময়ে সেবা ক্রয় করে তিনিই পর্যটক। ছোট্ট শব্দের এই পর্যটকের যেমন রয়েছে হরেক রকম প্রকারভেদ, তেমনি রয়েছে তার অধিকার। একজন পর্যটক যখন ভ্রমন আকাঙ্খা নিয়ে ঘর থেকে বের হয় তখন তার অধিকার আদায়ের পাশাপাশি সে দায়িত্ব ও কর্তব্যের গন্ডির মধ্যে পতিত হয়।
ভুমিকা দীর্ঘায়িত না করে এবার আসা যাক মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের দিকে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ঘোষিত পর্যটন উন্নয়ন সম্পৃক্ত যে সাতটি পক্ষ পর্যটনের মৌলিক উপাদান হিসেবে স্বীকৃত তা হল- সরকার, পর্যটন উদ্যোগক্তা বা ব্যবসায়ী, পর্যটক, স্থানীয় জনগোষ্টি, নারীর সম্পৃক্ততা, সংবাদ মাধ্যম এবং পর্যটন সংগঠন। এই পর্যটন পক্ষগুলোকে যার যার আওতা সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশিক দায়িত্বশীলতা পরিমাপ পূর্বক অবগত করতে হবে এবং ভাগ করে দিতে হবে দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চার ক্ষেত্র। পর্যটন একটি মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট। ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান উপকরণের সমন্বিত প্রয়াসই হচ্ছে পর্যটন। দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চা করতে গেলে আমাদের পর্যটনের উপকরণগুলো সর্ম্পকে সুস্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। অন্যথায় দায়িত্বশীল পর্যটন বাস্তবায়ন কখনো সম্ভব হবেনা।

সরকারঃ একটি দেশে পর্যটন প্রতিষ্টার মাধ্যমে সরকার- রাজস্ব আয়, বেকারত্ব নিরসন, আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে নিজেদের উপস্থাপন, রাস্ট্রীয় যোগাযোগ স্থাপন, ধর্মীয় সহবস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা আয়সহ নানা রকম অর্জন করে থাকে। তাই পর্যটনের মৌলিক উপাদান গুলোর মধ্যে প্রথম ও প্রধান উপকরণ সরকার। সরকার কর্তৃক নীতিমালা প্রণয়ন ও তদারকির মাধ্যমে পর্যটন শিল্প বিকাশের পাশাপাশি দায়িত্বশীলতা চর্চায় সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করতে হবে। কারণ সরকার যত সহজে কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে তা বেসরকারি উদ্যোগক্তাগণের জন্য সময় সাপেক্ষ।

পর্যটন উদ্যোগক্তাঃ পর্যটন উদ্যোগক্তা ব্যতিত কখনো দীর্ঘস্থায়ী পর্যটন গড়ে উঠেনা। তাই উদ্যোগক্তাগণই পর্যটনের মূলভিত্তি। পর্যটক আকর্ষনীয় কোন স্থানে সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দিলে সেখানে পর্যটন গড়ে তুলতে বেসরকারি উদ্যোগক্তাগণ কখনো কালক্ষেপন করেনা। পর্যটনের উপর বাস্তজ্ঞান সম্পন্ন বিনিয়োগকারি ছাড়া সহজে পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চা আশা করা সম্ভবপর নয়। কারণ দায়িত্বশীলতার প্রতি অবচেতনরা পর্যটকদের প্রাপ্য সেবা বঞ্চিত করে টেকসই পর্যটন বাধাগ্রস্থ করবে। পর্যটনে সেবা আগে ব্যবসা পরে। এই মন্ত্রটি যতক্ষন ব্যবসায়ীরা উপলদ্ধি করতে পারবে না ততক্ষণ দায়িত্বশীল আচরণের ফলাফল শূন্যই থাকবে।
পর্যটকঃ পর্যটন কর্মকান্ডের মূল নায়ক যেমন পর্যটক তেমনি পর্যটন ব্যবসার লক্ষীও পর্যটক। গন্তব্য, উদ্দেশ্য, ব্যয় ও সংখ্যার উপর ভিত্তি করে নানা শ্রেণির পর্যটক রয়েছে। পর্যটকদের শ্রেণি সর্ম্পকে সঠিক ধারণা ব্যতিত কখনো সন্তুষ্টিজনক পর্যটক সেবা নিশ্চিত করা যাবেনা। তাই পর্যটকদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার জন্য পর্যটকদের শ্রেণি বুঝে কাজ করতে হবে। অপরদিকে দায়িত্বশীল সেবা নিশ্চিত করা গেলেই পর্যটকদের নিকট দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করা যাবে। প্রশিক্ষণ ছাড়া অদক্ষ কর্মি দ্বারা কখনো মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করা যায়না। তাই প্রশিক্ষিত জনশক্তি দ্বারা পর্যটক সেবার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

স্থানীয় জনগোষ্টিঃ কোন এলাকায় স্থানীয় জনগোষ্টির শতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহন ছাড়া পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা কখনো সম্ভব না। কারণ পর্যটকরা হচ্ছে সাময়িক আগুন্তুক আর উদ্যোগক্তারা স্থায়ী। পর্যটনের বিকাশ ঘটাতে সবার আগে অত্র এলাকায় বসবাসরত সমাজগোষ্টি, তাদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, রক্ষনশীলতা, পরিবেশিক সুরক্ষা, ঐতিয্য, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমসহ প্রতিটি বিষয় অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্থানীয় জনগোষ্টিকে উপেক্ষা করে পর্যটন করা যায়না। স্থানীয় জনগোষ্টিকে প্রশিক্ষিত করে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা, ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করা, তাদের উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করা, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা বজায় রাখা এবং পর্যটন কর্মকান্ডে প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করতে হবে। স্থানীয় জনগোষ্টিকে উপেক্ষা করলে পর্যটক এবং তারা মুখোমুখি অবস্থান নিবে। কারণ স্থানীয় বেকারত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে পর্যটদের উৎপাতের শিকার হবার প্রবনতাও বৃদ্ধি পেয়ে যায়। তাই পর্যটকদের প্রতি স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করতে তাদের সম্পৃক্তকরণ অপরিহার্য।

নারীর সম্পৃক্তাঃ পর্যটন সবার জন্য উম্মুক্ত। পর্যটন কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহন নিশিচত করতে না পারলে পর্যটন কখনো পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারবে না। পর্যটনবান্ধব স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়ে পর্যটন পেশায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। পাশাপাশি নারীদের জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটনে যে দেশ যতবেশি নারীর অংশগ্রহন ঘটাতে পেরেছে সে দেশ ততবেশি সফল হয়েছে। পর্যটনে নারীর অংশগ্রহনের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চার হারও বৃদ্ধি পাবে। তাই পর্যটন উন্নয়ন টেকসই করতে পর্যটনে নারীর ক্ষমতায়ন ও অংশগ্রহন ঘটানো অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ মাধ্যমঃ বিশ্বায়নের এই যুগে একটি পর্যটন অঞ্চলকে দেশে বিদেশে পরিচিতি প্রদানের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের সম্পৃক্ততা অনস্বীকার্য। পর্যটন আকর্ষন পর্যটকদের সান্নিধ্যে পৌছেঁ দেওয়া কাজটি করতে পারে সংবাদ মাধ্যম। শুধু তাই নয় পর্যটনের মৌলিক উপকরণগুলোর মধ্যেও যোগাযোগ স্থাপনের কাজটি পরোক্ষভাবে করে থাকে সংবাদ মাধ্যম। সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্বশীল প্রচারে সরকার, উদ্যোগক্তা, পর্যটক, সংগঠক, জনগোষ্টি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই উপকৃত হতে পারে। তাই দায়িত্বশীল পর্যটন বিকশিত করতে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা কোন অংশে কম নয়।

পর্যটন সংগঠনঃ পর্যটনের মৌলিক উপদানের তালিকায় সবার নিচে থাকলেও এই উপকরণটিই মূলতঃ পর্যটনের ডাক-ঢোল পিটাই। যখন কোন পর্যটন অঞ্চলে পর্যটন সংগঠন গড়ে উঠে তখন বুঝা যায় এখানে পর্যটন নিয়ে কিছু হতে চলেছে। সংগঠিত না হয়ে কখনো পর্যটনকে স্থায়ী রূপ দেওয়া সম্ভব না। কারণ এক প্রচেষ্টাই হোটেল মোটেল রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি সব করা যায় কিন্তু পর্যটন করা যায় না। পর্যটন উন্নয়ন এবং স্থায়ীকরণে পর্যটন সংগঠনের ভুমিকা ফলপ্রসূ ও দৃশ্যমান হয়। তাই পর্যটন সংগঠন গুলোকে দেশ-বিদেশের সাথে পর্যটন যোগাযোগ তৈরী করে দিতে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা যদি সবসময় নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণের চিন্তায় ব্যস্ত থাকে সেখানে পর্যটন একসময় স্থান পরিবর্তন করে। তখন ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ে যায়। আর এই বিপাক থেকে কখনো বের হতে পারেননা। তাই বুঝতে হবে পর্যটন কি শুধুই ব্যবসা নাকি সেবার অর্ন্তনিহিত তাৎপর্যও বহন করে। তার একটি সঠিক ধারণা ছাড়া অশুভ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে পর্যটনহরন বন্ধ করা সম্ভব হবেনা। যেহেতু পর্যটনে সেবা আগে ব্যবসা পরে। পর্যটক সেবার নূন্যতম ধারণা ছাড়া যে সমস্ত লোক পর্যটন ব্যবসায় অনুপ্রবেশ করে পর্যটনকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করতেছে তাদেরকে স্ব স্ব সংগঠন কর্তৃক যাচাই-বাচাই পূর্বক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সাংগঠনিকভাবে অনুপ্রবেশকারিদের ঠেকাতে সুরক্ষা বলয় তৈরী করতে হবে। অন্যথায় সেবা প্রদানকারি প্রকৃত ব্যবসায়ীরাই অনুপ্রবেশকারিদের ভীড়ে হারিয়ে যাবে এবং ব্যহত হবে দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চা।
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলেও পর্যটন চর্চার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। কক্সবাজারের পর্যটন চর্চা এখনো একটি র‌্যালী এবং একটি কক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যতক্ষন বীচ ব্যবস্থাপনা এবং পর্যটন ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে তা সংশ্লিষ্টরা অনুধাবন করতে পারবেনা ততক্ষণ অত্র এলাকায় দায়িত্বশীল পর্যটন পরিলক্ষিত হবেনা। সৈকত ব্যবস্থাপনার একটি মাত্র ঔষুধ দিয়ে কখনো পর্যটনের রোগ সারানো যাবেনা। তাই আমাদেরকে পর্যটন ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে হবে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের অভিজ্ঞ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করতে হবে এই প্ল্যাটফমর্। যেখানে ব্যক্তিবিশেষ প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারবেনা, প্রতিনিধিত্ব করবে সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটনে দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষনলব্ধ ব্যক্তিদের পর্যটন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। হঠাৎ উড়ে আসা পর্যটন মহাজ্ঞানীদের কবল থেকে পর্যটনকে নিরাপদ দুরত্বে রাখতে হবে। তবেই কক্সবাজারের পর্যটন- স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিতপূর্বক নীতিনির্ধারণ করতে সক্ষম হবে এবং সফলতার মুখ দেখতে পারবে। পর্যটন চর্চা যদি অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিদের খপ্পরে পড়ে যায় তবে দায়িত্বশীল পর্যটন বিকাশ সৃষ্টি হবেনা। কক্সবাজারের পর্যটন জাতীয় অর্থনীতিতে ভুমিকা রেখে চলেছে। ধারাবাহিকভাবে এই ভুমিকার আকারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ বিদেশি পর্যটক আকর্ষনে দৃশ্যমান কোন পরিকল্পনা পর্যটন দপ্তরকর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। বিদেশি পর্যটক সেবার যাবতীয় অবকাঠামো এখন কক্সবাজারে রয়েছে শুধু অভাব আছে বিদেশি মানের পর্যটন চর্চা। কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্টদের একত্রিত হয়ে দায়িত্বশীল পর্যটন চর্চার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করা এখনই সময়োপযোগি পদক্ষেপ হতে পারে।
সমাপ্ত