সংবাদদাতা:
থানায় অভিযোগ দায়ের করার ১০দিন পরও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসি প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী শিরিনকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ভূক্তভোগী পরিবারের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে অপহরণকারীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে দাবি করেছেন অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

থানায় দেয়া এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহরের তারাবনিয়ারছড়া এলাকার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া কন্যা আফরোজা আক্তার শিরিন(১৫) কে কলেজে যাওয়া আসার পথে সদর উপজেলার ভারুয়াখালী পশ্চিম পাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের পুুত্র আশিক (২৪) প্রায় সময় উত্যক্ত করতো। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট অভিযোগ করা হলে আশিক ক্ষেপে যায়। কিন্তু এলাকার মানুষের তৎপরতার ফলে অভিযোক্ত ছেলেটি বেশ কিছু সময় এলাকা ছাড়া হয়। কিন্তু এলাকা ছাড়ার প্রতিশোধ নিতে গত ১৭ আগস্ট শিরিন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১০/১২ জন লোক তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগে দাবি করা হয় শহরের বিমান বন্দর সড়কের শ্যামলী কাউন্টার এলাকা থেকে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় একই দিন কক্সবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু অভিযোগের ১০দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কলেজ ছাত্রী শিরিনকে উদ্ধার করতে পারেনি মডেল থানার পুলিশ।

অপহৃতের ভাই অভিযোগকারী নুরুল মোমেন জোসেফ জানান, আশিক নামে এক মাদকাসক্ত ছেলে আমার বোনকে কলেজে যাওয়ার সময় উত্যক্ত করতো। এমনকি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। কিন্তু আমার বোন তাকে পাত্তা দিত না বিধায় সে আমার বোনকে অপহরণ করেছে। তিনি বলেন, ছেলেটি পুলিশের তালিকাভূক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মিনুর বাড়িতে ভাই পরিচয়ে থাকতো। বোনকে হারিয়ে আমার মা পাগল প্রায়। আমরা চাই দ্রুত আমার বোনকে উদ্ধার করে অপহরণকারীদের আইনের আওতায় আনা হউক।

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়ুয়া বলেন, তাদের অভিযোগ পেয়ে একজন অফিসারকে তদন্ত দেয়া হয়েছে। আশা করি সে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম জানান, আমরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।