তাওহীদুৃল ইসলাম নূরী

২০১০সাল থেকে শুরু হওয়া জে.এস.সি.পরীক্ষা বর্তমানে শিক্ষা স্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।প্রতি বছর রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুৃষ্ঠিত হয় এই পরীক্ষা।প্রথম পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শেষ করতে পারলে সামনের এস.এস.সি,এইচ.এস.সি. পরীক্ষার ব্যাপারে ভয়,শঙ্কা কাটে শিক্ষার্থীরদের। ২৩আগষ্ট ২০১৭সালের জে.এস.সি.পরীক্ষার সময়সূচী প্রদান করা হয়েছে।শিক্ষার্থী,অভিভাবকদের মত এই সময়সূচী দেখে আমি নিজেও বিস্ময়ে হতবাক হয়েছি।এই সময়সূচী দেখে বার বার প্রশ্ন জাগছে শিক্ষা বোর্ড কিংবা মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময়সূচী প্রণয়ন করেছেন নাকি তারা ব্যস্ততার কারণে কর্মচারীদের দিয়ে এই সময়সূচী প্রণয়ন করিয়েছেন? প্রকাশিত সময়সূচীতে দেখা গেছে ইংরেজী ২য়,গণিত ও বিজ্ঞানের মত কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে প্রস্তুুতির জন্য একটা দিনও রাখা হয় নি।০৫ নভেম্বর রবিবার ইংরেজী ১ম পরীক্ষার পরদিনই ০৬ননভেম্বর সোমবার ইংরেজী ২য় পরীক্ষা নির্ধারণ করা হয়ছে। ইংরেজী ২য় বিষয়টি ৫০নম্বরের হলেও গ্রামার সংক্রান্ত সমস্যা জড়িত থাকায় বিষয়টি বেশীরভাগ শিক্ষার্থীর নিকট কঠিন এবং সহজে বোধগম্য নয়।কারণ,আমাদের দেশে প্রাথমিক স্তরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোন গ্রামারই নাই।আবার ০৮নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মত একটি নতুন ও কঠিন পরীক্ষার পরের দিন ০৯নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা। বিজ্ঞান বিষয়টা কত কঠিন তা সবার জানা।

বলা যায়,জীব বিজ্ঞান,পদার্থ বিজ্ঞান,রসায়ন সংক্রান্ত সমস্যা এতে যুক্ত থাকায় বিষয়টি অনেক কঠিন এবং দুর্বোধ্য।অন্যদিকে সর্বমহলে কঠিন হিসেবে স্বীকৃত গণিত বিষয়ের আগেও কোন সময় রাখা হয় নি।১১নভেম্বর শনিবার কর্ম ও জীবনমুখী পরীক্ষার পরদিন ১২নভেম্বর রবিবার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা নির্ধারণ করা হয়েছে।দেখা যাচ্ছে কঠিন ও দুর্বোধ্য বিষয়গুলোতে এমন করা হলেও অপেক্ষাকৃত সহজ বিষয়গুলোতে সময় দেয়া হয়েছে।কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলার মত সহজ বিষয়েগুলোর আগে একদিন করে সময় দেয়া হলেও গণিত,ইংরেজী ২য় ও বিজ্ঞানের মত কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে এমন হলো কেন? এ প্রশ্ন আজ সবার।সর্বমহলের ধারণা অবিবেচনাপ্রসূত নির্ধারণ করা এ সময়সূচী অনুযায়ী যদি পরীক্ষা অনুৃষ্ঠিত হয়,তাহলে অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবনে ঘোর অমানিশা নেমে আসবে।আর সামগ্রিকভাবে জাতীয় পর্যায়েও তেমন একটা ভাল ফলাফল আসবে না।তাই,অনতিবিলম্বে সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে “২০১৭এর জে.এস.সি.পরীক্ষার সময়সূচী পরিবর্তন করা হউক” এ দাবী আজ আমাদের সবার।

-তাওহীদুল ইসলাম নূরী শাহারবিল সদর,চকরিয়া,কক্সবাজার। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম(অধ্যয়নরত)।