পেকুয়া সংবাদদাতা :

নুরুল আবদীন পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ফায়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ২৪ আগষ্ট হঠাৎ শুনলেন তাকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে। দ্রুত তিনি রাউজানের কর্মস্থলে চলে যাওয়ায় তার স্ত্রী ও তিন সন্তান পরিবার থেকে যান পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কোয়াটারে। সরকারী আদেশ অনুযায়ী তিনি দ্রুত চলে যাওয়ায় তাদের নিতে পারেনি। না নেওয়াটাই কাল হয়েছে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের। কোয়াটার থেকে বের করে দিলেন পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ইনচার্জ আবুল হোসেন ও তার সহকর্মীরা। এমনকি সে চলে যাওয়ার পর থেকে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দেন তাদের। কোয়াটার থেকে বের না হওয়ায় তাদের কক্ষে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিও দেন ষ্টেশন ইনচার্জ। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের মাঠে তাদের কান্নারত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে, ২৫ আগষ্ট বিকালে পেকুয়া চৌমহুনীস্থ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে।

ফায়ারম্যান নুরুল আবদীনের স্ত্রী সেলিনা আকতার বলেন, আমার স্বামী নুরুল আবদীনকে গত ৩মাস আগে ষ্টেশন ইনচর্জ আবুল হোসেন হাটহাজারিতে বদলী করে। আবার সেই টাকার বিনিময়ে তদবির করে আমার স্বামীকে পেকুয়ায় রেখে দেন। গত কয়েকদিন ধরে ষ্টেশন ইনচার্জ আমার স্বামীকে বদলী করার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু আমার স্বামী কিছুতেই তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রাউজানে বদলী করে। গত ২৪ আগষ্ট আমার স্বামী রাউজানে যোগদান করলেও আমাদেরকে তার সাথে নিতে পারেনি। এ সুযোগে ষ্টেশন ইনচার্জ আমার কোয়াটারের পানির লাইন, বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেন। এরপরও বের না হওয়ায় তিনিসহ ফায়ার সার্ভিসের ড্রাইভার দিল ইসলাম মিলে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেন। আমি ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে এ সময় কোথায় যাব জানতে চাইলে অশ্লীল ভাষায় গালিও দেন। পরে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ইনচার্জ আবুল হোসেন বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের আদেশে ফায়ারম্যান নুরুল আবদীনকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে। ডিডি’র নির্দেশে তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পানি ও বিদ্যুতের লাইন আগেই থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম উপ-পরিচালক আবদু ছত্তার মন্ডলের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত আছেন রাত ১০টায় ফোন করার জন্য বলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস কক্সবাজার উপ-সহকারী আবদুল মালেখ বলেন, ফায়ারম্যান নুরুল আবদীন নিয়মিতভাবে বদলী হয়েছেন। তার স্ত্রীর সাথে যদি কোন ধরণের অশালীন আচরণ করে তার খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।