গ্রন্থাগার নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত

পেকুয়া সংবাদদাতা :

পেকুয়া উপজেলার অতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্টান পেকুয়া জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। একই সাথে চলা গন্থাগার নিয়োগের পরিক্ষা চললেও লিখিত পরিক্ষার পর তা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) সকাল ১০টায় স্কুল হল রুমে পৃথক এ দুটি পরিক্ষা অনুষ্টিত হয়।

জানা গেছে, গত ২ আগষ্ট পেকুয়া জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও গ্রন্থাগার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জন প্রার্থী লিখিত আবেদন করেন। পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেন ৭জন পরিক্ষার্থী। এর মধ্যে লিখিত, ভাইবা ও সার্টিফিকেট মাকসসর্হ সর্বোচ্চ ৩৭ নাম্বার পেয়ে পেকুয়া জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল হোছাইন সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে নিয়োগ বোর্ড। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ স্বচ্চ লিখিত পরিক্ষার মাধ্যমে উর্ত্তীণ হয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে পদন্নোতি হচ্ছে।

এদিকে একই সময়ে গ্রন্থাগারের ১টি শূণ্য পদের ১৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। যথারীতি তারা লিখিত পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেন। লিখিত পরিক্ষায় এক প্রার্থীকে উর্ত্তীণ করতে ব্যাপক অনিয়মের কথা বলাবলি শুরু হলে নিয়োগ বোর্ড পরিক্ষা বাতিল বলে ঘোষনা করে। তবে নিয়োগ বোর্ড এর সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ফ.ম হাছান জানিয়েছেন, লিখিত পরিক্ষায় অংশগ্রহনকারীরা খুবই খারাপ রেজাল্ট করেছে। অন্তত তিনজন প্রার্থীর লিখিত পরিক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় নীতিমালা অনুযায়ী পরিক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তিতে আবার নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হবে।

নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উম্মে কুলসুম মিনু, ডিজি প্রতিনিধি চকরিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ফ.ম হাছান, জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন, পরিচালনা কমিটির সদস্য ছৈয়দ বেলাল হোছাইন ও শাহেনা বেগম।