হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ  :

টেকনাফের সাবরাং আলীরডেইল ও ছোট হাবিবপাড়া থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিজিবি ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা মুল্যের ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে উভয় অভিযানে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

টেকনাফ-২ বিজিবি’র পরিচালক অধিনায়কলেঃ কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান “বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় ইয়াবার একটি চালান সাবরাং ইউপিস্থ আলীরডেইল তিন রাস্তার মোড় এলাকা দিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে গমন করতে পারে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ খুরেরমুখ অস্থায়ী চেকপোষ্টের হাবিলদার মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল ২৪ আগস্ট দ্রুত বর্ণিত স্থানে গমন করতঃ রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। কিালে ২ জন লোককে একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে আসতে দেখে টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এমতাবস্থায় ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করা মাত্রই দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল তাদের পিছু ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ভেতর পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে টহলদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেসামরিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া ব্যাগটি তল্লাশী করে ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৩৯ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান ২৪ আগস্ট রাত ১০ টায় অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপির হাবিলদার মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহল দল ছোট হাবিবপাড়া এলাকায় মোটর সাইকেল যোগে নিয়মিত টহলে গমন করে। মোটর সাইকেল যোগে টহলকালীন রাস্তার পার্শ্বে অবস্থানরত একজন লোক টহলদলকে দেখা মাত্রই একটি ব্যাগ হাতে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় টহলদল রাস্তার পার্শ্বে মোটর সাইকেল রেখে তাকে ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে সে তার হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া ব্যাগটি তল্লাশী করে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১০ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে”।