শফিক আজাদ,উখিয়া :

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ নিদানিয়া এলাকায় বসতভিটার সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে এক স্কুল ছাত্রীসহ ৩জন মহিলা গুরুতর আহত করেছে। আহতদের ৬ঘন্টার পর প্রতিপক্ষের কবল থেকে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিদানিয়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে আবদুল্লাহ(৩৩) গত ৩বছর পুর্বে তাঁর আপন চাচা ফেরদৌস, খাইরুল আলম ও ফরিদুল আলমের নিকট থেকে ১০ কড়া জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিল। প্রতিমধ্যে উক্ত জায়গার অবৈধ মালিকানা দাবী করে তার চাচা নুরুল আমিন গং। স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বিচার-সালিশ হয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তা মেনে না নিয়ে সম্প্রতি আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ’র বসতভিটার টিউবওয়েলসহ ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে আব্দুল্লাহ পিতা নুরুল আলম। যাহা উখিয়া থানার এসআই আনোয়ারের ও মাহাবুবের নিকট তদন্তাধীন থাকা কালীন বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ীতে কোন পুরুষ না থাকা অবস্থায় অবৈধ জায়গা দাবীদার নুরুল আমিন, ফরিদুল আলম, নুরুল আবছার, ছৈয়দ আলম,লুৎফর রহমান,আতিক উল্লাহ,মারুয়ান সহ১০/১৫জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নুরুল আলমের বাড়ীতে ঢুকে তাঁর পুত্রবধু জুলেখা বেগম (২২) ছালেহা বেগম (৩০) এবং স্কুল পড়–য়া মেয়ে তাহমিনা আকতার(১৪)কে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে ফেলে রাখে। এবং প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে তাঁদের দা’কিরিচ,লাঠি,সোটা নিয়ে হুমকি প্রদর্শন করে। পরে খবর পেলে নুরুল আলম থানা পুলিশকে খবর দিলে উখিয়া থানার এএসআই বিষু রায় ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে আসে। তৎমধ্যে পুত্রবধু জুলেখা বেগমের মাত্র ১সপ্তাহ আগে অপারেশন হয়েছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে চাইলে এএসআই বিষু রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, এ ঘটনা একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাহা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।