বিশেষ সংবাদদাতা:

টেকনাফে ছাগল চুরির সালিশকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ লোকজনের উপর গুলি বর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নুর হোসেন (২২) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া গ্রামে। আহত যুবক স্থানীয় দলিল আহমদের ছেলে। এ ব্যাপারে আহতের ভাই নবী হোসেন বাদী হয়ে বুধবার রাতে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সুত্রে ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানিয়েছেন, মহেশখালীয়া পাড়ার মোজাহের আলমের ছেলে শামসুল আলমের একটি ছাগল চুরির ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদেও দরবারে বৈঠক বসে মঙ্গলবার রাতে। এতে ছাগল চুরির বিষয়ে রফিক ও মোহাম্মদের ছেলে এবং আবুল বশরের ছেলে মিজান , তার সহযোগি জসিম, সাইফুলকে দোষারুপ করা হয়। পরবর্তীতে এর বিচার বসবে এমন সিদ্ধান্ত হয়। এ বিচার নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সময়ে আবুল বশরের লোকজন প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই মনজুর আলমসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু পরের দিন বুধবার সকালে আবুল বশরের লোকজন ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদকে কাজের ছেলে আবদুস সালামকে মারধর করে। এক পযার্য়ে আব্দুল হামিদেও বাড়ীর দিকে এগিয়ে গেলে ইউপি সদস্যের বেশ কয়েকজন সমর্থক এগিয়ে আসে। এ ছাড়া আবুল বশরের নিকট আত্বীয় পাশ্ববর্তী গোদার বিল গ্রামের পুতু মিয়া ছেলে দিল মোহাম¥দ দিলুর নেতৃত্বে ২০/২১ সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র অবস্থায় গুলি বর্ষণ করতে করতে হামিদ মেম্বারের সমর্থকদের দাওয়া করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় নুর হোসেন ও তার পিতা দলিল আহমদ। পরে আহতদেও উদ্ধার কওে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার সদও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আহতের ভাই নবী হোসেন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় দিল মোহাম্মদ দিলুকে প্রধান আসামী করে ২১ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

টেকনাফ সদও ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, দিলুর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে । শত শত লোকের সামনে দিনের বেলায় ৮ থেকে ১০ রাউন্ড অবৈধ পিস্তলের গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মাইন উদ্দিন খান সংবাদেও সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।