বাহারছড়া প্রতিনিধি :

টেকনাফ বাহারছড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের পর প্রায় দুই মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উক্ত কিশোরী বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর কন্যা নাজমা আকতার (১৬)বলে জানা গেছে।

এদিকে নিখোঁজ নাজমা আকতারের পিতা মোহাম্মদ আলী জানান , আমার মেয়েকে আজ থেকে আড়াই মাস আগে আমাদের এলাকার নুর আহমদের পূত্র ফরিদুল আলম ও তার কিছু সহযোগির সহায়তায় মুখ বেঁধে অপহরণ করে একটি জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে, তারপর আমরা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করি, কিন্তু পাইনি, পরে সে নিজেই রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে এবং তাকে ধর্ষণ করার কথা আমাকে ও তার মাকে খুলে বলে । তারপর আমরা বিষয়টি লোক লজ্জার ভয়ে স্থানীয় ভাবে বিচার পাওয়ার জন্য চেষ্টা করি, কিন্তু আমরা গরীব মানুষ হওয়াতে স্থানীয় ভাবে কোনো বিচার পাইনি, এমনকি আমার মেয়ের ধর্ষণের ব্যাপারে যদি আর কোনো বিচার চাই তাহলে তারা আমাদের কে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমরা নিরুপায় হয়ে আমার মেয়ে ধর্ষণের বিচার চেয়ে কক্সবাজার সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে ৪-৫-২০১৭তে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি । যার নং পিপি ৩৮৪। যা বর্তমানে টেকনাফ থানায় তদন্তাধীন। ধর্ষিত কিশোরীর পিতা মোহাম্মদ আলী আরো বলেন আমার মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে যখন আমরা কোর্টে মামলা করি তখন ফরিদুল আলম এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার কয়েকজন নারী ও পুরুষ সহযোগির সহায়তায় আমরা বাড়িতে না থাকা অবস্থায় আবার আমার মেয়েকে জোরপূর্বক মুখ বেধে অপহরণ নিয়ে যায়, আর ফরিদুল আলমের সাথে আমার মেয়েকে অপহরণকারীদের মধ্যে অন্যতম সহযোগি হল স্থানীয় আবু সিদ্দিককের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, বুলবুল আকতার, ও মোর্শেদা বেগমের স্বামী আবু সিদ্দিক, মুলত এদের সহযোগিতায় ফরিদুল আলম আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে, তারপর আমরা নাজমাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি এবং ফরিদুল আলমকে আমার মেয়ের সন্ধান দেওয়ার জন্য অনেক আকুতি মিনতি করেছি, কিন্তু তিনি উল্টো আমাদের কে হুমকি প্রদান করে, আমার মেয়ে আজ দুই মাস ধরে নিখোঁজ, সে কি বেচেঁ আছে, না মরে গেছে জানিনা, তাই আমরা আমাদের মেয়ের সন্ধান পাওয়ার জন্য গণমাধ্যম ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি, এদিকে নাজমাকে অপহরণের ঘটনায় ফরিদুল আলম সহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে পৃথম একটি অপহরণ মামলা দায়ের করবে বলে জানান নাজমার পিতা মোহাম্মদ আলী।