বিশেষ প্রতিবেদক:

পর্যটন নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এবং পর্যটন রাজধানীখ্যাত বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তটরেখায় অবস্থিত জেলা কক্সবাজার। অপরূপ সকল উপাদানে সাজানো প্রকৃতির মনমুগ্ধ শোভা দর্শনে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের দর্শনীয়স্থান সমূহ ঘুরিয়ে দেখানোর কাজটি দীর্ঘ ১৪ বৎসর যাবৎ নিষ্টার সাথে সম্পাদন করে যাচ্ছে ভ্রমন সহযোগি সংগঠন “ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক), বাংলাদেশ”। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সম্মুখে কক্সবাজারের আর্কষনীয় স্থান, আবাসন সুবিধা, যাতায়ত ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা, বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষিত গাইড সার্ভিস, নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চয়তা ইত্যাদি প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে কক্সবাজারকে পর্যটকদের পছন্দের এক নাম্বার স্থানে পরিণত করতে টুয়াক অপরিসীম ভূমিকা রেখেছে। কক্সবাজারে নিয়মিত পর্যটন সমাগম ঘটানোর কঠিন কাজটি একমাত্র টুয়াকই করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্থানীয় বেকারত্ব বিমোচনে টুয়াক অনুকরণীয় একটি সংগঠন হিসেবেও স্বীকৃতি লাভ করেছে।

পর্যটন নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এবং পর্যটন রাজধানীখ্যাত বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তটরেখায় অবস্থিত জেলা কক্সবাজার। অপরূপ সকল উপাদানে সাজানো প্রকৃতির মনমুগ্ধ শোভা দর্শনে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের দর্শনীয়স্থান সমূহ ঘুরিয়ে দেখানোর কাজটি দীর্ঘ ১৪ বৎসর যাবৎ নিষ্টার সাথে সম্পাদন করে যাচ্ছে ভ্রমন সহযোগি সংগঠন “ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক), বাংলাদেশ”। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সম্মুখে কক্সবাজারের আর্কষনীয় স্থান, আবাসন সুবিধা, যাতায়ত ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা, বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষিত গাইড সার্ভিস, নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চয়তা ইত্যাদি প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে কক্সবাজারকে পর্যটকদের পছন্দের এক নাম্বার স্থানে পরিণত করতে টুয়াক অপরিসীম ভূমিকা রেখেছে।

কক্সবাজারে নিয়মিত পর্যটন সমাগম ঘটানোর কঠিন কাজটি একমাত্র টুয়াকই করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্থানীয় বেকারত্ব বিমোচনে টুয়াক অনুকরণীয় একটি সংগঠন হিসেবেও স্বীকৃতি লাভ করেছে।  ট্যুর অপারেটিং পেশার মান উন্নয়ন, নীতি নির্ধারণ, অপারেটর-গাইড প্রশিক্ষণ, ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি অর্জন, সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন, পর্যটন উন্নয়ন ও গবেষণা বাস্তবায়ন, দেশে-বিদেশে পর্যটন কর্মশালায় অংশগ্রহন, প্রশাসনে পর্যটনমুখী ভূমিকা বৃদ্ধিতে সহায়ক যোগাযোগ স্থাপন, পর্যটন মেলা ও উৎসব আয়োজন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের পর্যটন সংগঠনগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন, স্থানীয় জনগণের মধ্যে পর্যটন বিষয়ক সচেতনা বৃদ্ধিকল্পে কর্মসূচী গ্রহণ, কমিনিউটি বেইজড্ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট, ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট, পর্যটন ও পরিবেশ রক্ষাসহ গুচ্ছ গুচ্ছ কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে টুয়াক নিজস্ব রোড়ম্যাপ বাস্তবায়নে সফল একটি পর্যটন সংগঠন।

অনেক কষ্টসাধ্য করে টুয়াক কক্সবাজার জেলায় পর্যটন উন্নয়নে প্রতিনিধিত্বকারি একটি সংগঠনে পরিণিতি লাভ করেছে। আর দীপ্তোজ্জল এই কর্মযজ্ঞের সূচনা যিনি করেছিলেন, তিনি হলেন টুয়াকের প্রতিষ্ঠাতা এম. এ. হাসিব বাদল। পর্যটন অনুরাগী ও বিশ্লেষক এম. এ. হাসিব বাদল প্রতিষ্ঠালগ্নে আরো আটজন সহযোদ্ধা যথাক্রমে- এস. এম. কিবরিয়া খাঁন, তোফায়েল আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, এম. এম. সাদেক লাবু, আসাফ উদ্ দৌলা (আশেক), ছৈয়দুল হক কোম্পানী এবং শাহনেওয়াজ গুংগু কে সাথে নিয়ে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করেছিলেন পর্যটন স্বেচ্ছাসেবিদের প্রথম সংগঠন “ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক), বাংলাদেশ”।

ধীরে ধীরে সেই টুয়াক পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্ববহনকারি একটি সংগঠনে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে। এক যুগেরও বেশি সময় চলার পথে দুই-একটি সাংগঠনিক বিশৃংঙ্খলা ঘটলেও পুনরায় উজ্জীবিত করে সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে নিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠাতা ও ফাউন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান এম.এ. হাসিব বাদল। বিগত কার্যকরি কমিটির চরম ব্যর্থতা এবং আন্ত:কোন্দল সংগঠনের ভাবমূর্তি একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চলছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে সংগঠনের সাধারণ সদস্যদের ডাকা তলবী সাধারণ সভার মাধ্যমে বিগত ২২/০৪/২০১৭ইং তারিখ প্রতিষ্ঠাতা এবং ফাউন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান এম. এ. হাসিব বাদলকে আহ্বায়াক করে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কামরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছৈয়দুল হক কোম্পানী, সিনিয়র সদস্য আনোয়ার কামাল আনু, আবুহেনা মোস্তফা শাহ্জান, আল আমিন বিশ্বাস তুষার, ইফতেকার চৌধুরী, হোসাইন ইসলাম বাহাদুর এবং এস.এ. কাজল।

সভায় বিজ্ঞ সদস্যরা আহ্বায়ক কমিটিকে আরো শক্তিশালী এবং নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে  টুয়াকের সাবেক আহ্বায়ক এবং জেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানকে প্রধান সমন্বয়কারি করে আরেক সমন্বয় কমিটি গঠন করে দেন। সমন্বয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সিনিয়র সদস্য দিদার হোসাইন এবং সাহেদুল ইসলাম সাহেদ। বর্তমানে এম.এ. হাসিব বাদলের নেতৃত্বে আহবায়ক কমিটি এবং সমন্বয় কমিটির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় টুয়াকের অগ্রগতি দৃশ্যমান। অল্প সময়ের মধ্যে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি যে সমস্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে তার একটি চিত্র তুলে ধরা হল- সংগঠনের অফিসগৃহ পুনঃসজ্জিতকরণ, জাতীয় নৌ সপ্তাহ উপলক্ষে পর্যটক মৎস্যজীবি এবং স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন, ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থ ১০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, ৫০ জন এতিমদের মধ্যে কোরআন শরীফ বিতরণ, টুয়াক সদস্য-গাইড এবং ৩০০ জন বিশিষ্টজন ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সম্মানে ইফতার আয়োজন, ৩২০ জন অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী এবং পোষাক বিতরণ, ছিন্নমূল ৭০ জন পথশিশুকে ঈদ পোষাক বিতরণ, টুয়াক সদস্য, পরিবারবর্গ এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে ঈদ পূনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, ১০০ জন পথশিশুদের জন্য নৈশ্যভোজের আয়োজন, টুয়াকের জন্য একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা কমিটি গঠন, কক্সবাজার ব্রান্ডিং কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়া, দিনব্যাপী কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন এবং পর্যটন উন্নয়ন ফেডারেশন কক্সবাজার গঠনের উদ্যোগসহ নানা কর্মকান্ড সফলতার সাথে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে।

প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতকারে টুয়াক প্রতিষ্ঠাতা এবং আহবায়ক এম. এ. হাসিব বাদল বলেন- আমার কমিটির সদস্যবৃন্দ, সমন্বয়কবৃন্দ, সাধারণ সদস্যবৃন্দ এবং ফাউন্ডার কমিটির সদস্যবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া কখনো উপরোক্ত কর্মকান্ডগুলো বাস্তবায়ন ও সফলকাম সম্ভব হতনা। তিনি আরো বলেন- কক্সবাজার পর্যটনের পটপরিবর্তনের জন্য টুয়াক আরো কিছু চমকপদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটক সমাগম বৃদ্ধির সাথে সাথে পর্যটনে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অগ্রগতি সাধিত হবে।

স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন, গণমাধ্যম, সরকারি নীতি-নির্ধারণ এবং নেতৃবৃন্দের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ ছাড়া কখনো পর্যটনের বিকাশ সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার কর্তৃক কক্সবাজারের উন্নয়নে গৃহিত মেঘা প্রকল্পসমূহ পর্যটনে অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটাবে বলে তিনি ব্যক্ত করেন। আর্ন্তজাতিক মানের বিমানবন্দর, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেরিন ড্রাইভ, নাফ ট্যুরিজম প্রকল্প, এক্সুসিভ ট্যুরিস্ট জোন, স্পোর্টস ট্যুরিজম, আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেড়িয়াম, রেল লাইন সংযোগ, সোনাদিয়া আর্ন্তজাতিক ট্যুরিস্ট জোন, আর্ন্তজাতিক যাত্রীবাহি জাহাজ টার্মিনাল নির্মাণসহ নানা প্রকল্পসমূহ আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে কক্সবাজারকে প্রতিষ্ঠিত পর্যটন নগরী হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে সক্ষম হবে।

উপরোক্ত উন্নয়ন এবং পর্যটনে বিশেষ দৃষ্টিপাতের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে টুয়াকের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন টুয়াক প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক এম.এ হাসিব বাদল।পর্যটন প্রসারে প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে তিনি জানান- সময়োপযোগি ডিজিটালাইজেশনের ছোয়াঁ পর্যটন সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মুঠোফোনে সকল সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, পর্যটক সমাগম এলাকায় ভিখারী-রোহিঙ্গা-ছিনতাইকারিদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, ট্যুরিস্ট হেল্পলাইন এবং ভ্রমনতথ্য প্রাপ্তি সহজতর করা, ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা ও টহল বৃদ্ধি করা, পর্যটন এলাকায় পোষাক-আইডি কার্ড ও অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক সিএনজি/ টমটম চালকের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা, মাদক সরবরাহে সম্পৃক্ত সার্ভিস হোল্ডারদেরকে চিহ্নিত করে চাকুরিচ্যুত করা, নিয়ম বর্হিভুত কক্ষভাড়া প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন, নির্ধারিত এলাকা ব্যতিত হোটেলের অলিগলি সমূহে শুটকির দোকান সম্প্রসারণ বন্ধ করা, হোটেলের ভিতর-বাহির সিসিটিভি ক্যামেরার সচলাবস্থা নিশ্চিত করা, কমিশন কাউন্টারসহ একটি কোম্পানীর একাধিক কাউন্টার উচ্ছেদ করা, পর্যটন উদ্যোগক্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার দুরত্ব নিরসন করা, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অভাব, পর্যটন কার্মকান্ড এবং কমিটি সমূহে পর্যটন সংগঠকদের অনুপস্থিতি, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরীর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংকটের সমস্যাগুলো তিনি উল্লেখ করেন।

পরিশেষে পর্যটন প্রসারে সচেতন মহলসহ সকলকে একযোগে টুয়াকের সাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। কিছু সাংগঠনিক সংষ্কার সম্পন্ন করে যথাসময়ে নির্বাচন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ একটি কার্যকরি কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তরেও তিনি বদ্ধপরিকর। সেই সাথে টুয়াক হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যারা পর্যটন প্রসারে প্রতিবন্ধকতা ও বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে পর্যটনের জন্য ষঢ়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানান।