মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবানের লামা উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারি নিরীহ মানুষগুলো উভয় সংকটে পড়েছেন। একদিকে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর চাঁদাবাজি অন্যদিকে তাদের তৎপরতা সম্পর্কে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করার অভিযোগে নির্যাতন। এ কারনে সম্প্রতি দূর্গমে বসবাসকারিরা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। উদ্বুত পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনার জন্য গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং বাজার, সদর ইউনিয়নের পোপা হেডম্যানপাড়া ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংমুখে অস্থায়ী নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিরি সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যানগন এসব কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌূধুরী। এতে পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারাবান তহুরা, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়–য়া বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভায় দুর্গমে বসবাসকারিদের দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন- গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনুঅং চৌধুরী বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় তুলে ধরা হবে। পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন, যে কোন মূল্যে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে হবে। লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দূর্গমে বসবাসকারিদের জীবনযাত্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না।