শাহেদ মিজান, সিবিএন:

ইয়াবা পাচারের দায়ে ১৯ জন ইয়াবা পাচাপরকারীর প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিনমাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সামসুল আলম কালু, জাহিদ হোসেন, অছিউল­াহ, আইয়ুব আলী, আজিজুল হক, মকবুল আহমেদ, রফিক আলম, খাইরুল আমিন, ফজল করিম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আব্দুল­াহ, জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ রুবেল, রাশেদুল হক, নুরুল আলম, মো. ইমাম হোসেন ও রুবেল।

সোমবার কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওসমান গণি জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলার শাহপুরীরদ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার তল্লাশি চালায় টেকনাফের কোস্টগার্ড।

ওই সময় ট্রলার দুইটি থেকে উদ্ধার করা হয় চার লাখ ইয়াবা। গ্রেফতার করা হয় ট্রলারে থাকা ১৯ জনকে। এ ঘটনায় টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনের পিও এমএ তাহের বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মাদকদ্রব্য আইনে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

টেকনাফ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম রায় সরকার মামলাটি তদন্ত করে গ্রেফতার ১৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার কার্যক্রম শেষে সোমবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, দেশে এ যাবৎ ইয়াবা মামলায় এটি হলো সর্বোচ্চ দণ্ডাদেশ। অতিরিক্ত পিপিদের আন্তরিকতা পূর্ণ কার্যক্রমের কারণে মাত্র এক বছর ৫ মাস ২৬ দিনে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলেও জানান তিনি।