ডেস্ক নিউজ:
ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্ন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে কেন নেই মুমিনুল হক? লক্ষ্য কখনো প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন, কখনো বা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কারও উত্তরই ঠিক গ্রহণযোগ্য নয়। টানা ১১ টেস্টে ফিফটি করা ব্যাটসম্যানকে মাত্র দুটি টেস্টে রান না পাওয়ার কারণে টেস্ট স্কোয়াড থেকেই কি বাদ দেওয়া যায়?

বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কান কোচ অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুদ্রার অন্য পিঠটিই দেখাতে চাইলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে হারার পরও যাঁদের নিয়ে কলম্বো টেস্ট জিতল বাংলাদেশ, তাঁদের তিনি হতাশ করতে চাননি। মিরপুরে কাল দল নির্বাচনী সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহের ব্যাখ্যা, ‘খেলোয়াড় নির্বাচন হয় ধারাবাহিকতার ওপর ভিত্তি করে। আমাদের সর্বশেষ টেস্টে কিছু খেলোয়াড় বাদ পড়েছে। আমি কারও নাম উল্লেখ করছি না, কারণ আমার কাছে দলটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দল নির্বাচনে ধারাবাহিকতা থাকলে সেটা পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগায়। দল নির্বাচনে ধারাবাহিক থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম টেস্টে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) হারার পর সর্বশেষ টেস্টে ওরা ভালো খেলেছে।’

দল নির্বাচনের এই নীতির কারণে অন্যদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না হাথুরুসিংহে। মুমিনুলের মতো দলে না থাকা আরেকজন মাহমুদউল্লাহর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘অন্যরা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো খেললেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। গত কয়েকটা সিরিজে আমাদের ফর্ম ভালো যাচ্ছে, এটাই সবচেয়ে ভালো দিক। যারা বাদ পড়েছে তাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

কোচের বিশ্বাস, বাদ পড়া খেলোয়াড়েরাও জানেন তাঁদের অবস্থান কোথায় বা কেন তাঁরা বাদ পড়েছেন। কিন্তু ৪৬.৮৮ গড় নিয়েও যদি হঠাৎ একজন ব্যাটসম্যান টেস্টে অপাঙ্‌ক্তেয় হয়ে যান, কোচ হিসেবে ব্যর্থতার দায় তো হাথুরুসিংহের ওপরও বর্তায়! কোচ সেই দায় নিয়েও বলেছেন, ‘কোচ হিসেবে দায়িত্ব তো আছেই। তবে খেলোয়াড়কেও জানতে হবে তার কী করা উচিত। তারা এটা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছে। কেউ তখনই দলের বাইরে চলে যায়, যখন সে পারফর্ম করে না।’

হাথুরুসিংহের শেষ কথাটা অবশ্য বাংলাদেশ দলেই অনেকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি। দিনের পর দিন রান না করার পরও শুধু আত্মবিশ্বাস দিতেই দু-একজনকে দলের সঙ্গে বহন করার নজির আছে তাঁর সময়েই। কোচের অবশ্য দাবি, ‘সবাইকে একইভাবে বিচার করা হচ্ছে।’